অটোরিকশা কিনতে হলে মাধ্যমিক পাশ করতে হবে— এমনই দাবি তুলল শিলচর অটোমালিক সংস্থা।
সংগঠনের যুক্তি, শহরে অটোরিকশা পরিষেবার বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উঠছে। কখনও যানজটের জন্য দায়ী করা হচ্ছে অটোকেই। কখনও বা যাত্রীর সঙ্গে দুর্ব্যবহারের কথা বলা হচ্ছে। সমীক্ষায় সংগঠনটি দেখেছে, অটোরিকশ চালকদের পড়াশোনাই তার অন্যতম কারণ। যে সব চালকদের শিক্ষা কম, যাত্রীদের সঙ্গে তাঁরাই বেশি দুর্ব্যবহার করেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে অটোরিকশ যাঁরা কেনেন, তাঁরাই সেটি চালান। তাই অটোরিকশা কেনার অনুমতি (অটো পারমিট) দেওয়ার সময় ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা মাধ্যমিক পাশ করা হোক। তা হলেই এ সব সমস্যা অনেকটা কমবে।
সংগঠনের উপসভাপতি নির্মলচন্দ্র দে, সাধারণ সম্পাদক বিকাশ ভট্টাচার্যরা জানান, এখন শিলচর শহরে প্রায় ৮ হাজার অটোরিকশা রয়েছে। গত দু’দশকে সংখ্যাটা ১০ গুণ বেড়েছে। কিন্তু রাস্তাঘাটের পরিসর বাড়েনি। ফুটপাতে হাঁটা যায় না। রাস্তার উপরই গাড়ি-মোটর সাইকেল পার্ক করা হয়। যাত্রী নিরাপত্তা এবং যানজট নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনকে সাহায্য করতে প্রস্তুত ওই সংগঠনটি। এ কথা জানিয়ে তাঁরা ট্রাফিক উপদেষ্টা পর্ষদের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করেন। ১৮ মার্চ পর্ষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, অটোরিকশার ডান দিকের দরজা পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে হবে। পর দিন জেলা পরিবহণ দফতরের তরফে এ কথা জানানো হলে, সংগঠনটি সমস্ত অটোমালিকদের সেই মতো পদক্ষেপ করতে বলে। সে জন্য প্রশাসনের কাছে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত সময় চেয়ে নেওয়া হয়েছে। কেউ ওই নিয়ম না মানলে জেলা পরিবহণ অফিসারকে ১৫ এপ্রিল থেকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।