—ফাইল চিত্র।
সীমান্তে স্থিতাবস্থা ফেরানো নিয়ে চিনের সঙ্গে যদি আলোচনায বসা যায়, তা হলে পাকিস্তানের সঙ্গে নয় কেন? শনিবার সংসদে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশে এই প্রশ্নই ছুড়ে দিলেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা লোকসভা সাংসদ ফারুক আবদুল্লা। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই সীমান্তে স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনা সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
দীর্ঘ বন্দিদশা কাটিয়ে বেরিয়ে আসার পর শনিবারই প্রথম সংসদে মুখ খোলেন ফারুক আবদুল্লা। তিনি বলেন, ‘‘সীমান্তে সঙ্ঘাতের ঘটনা বেড়েই চলেছে। তার জেরে বেড়ে চলেছে মৃত্যুর ঘটনাও। এমন পরিস্থিতিতে কোনও না কোনও উপায় খুঁজে বার করতেই হবে। লাদাখ থেকে চিন যাতে বাহিনী সরিয়ে নেয়, তার জন্য তাদের সঙ্গে তো কথা বলছেন। আর এক পড়শি দেশ পাকিস্তানের সঙ্গেও কথা বলে রাস্তা খোঁজার চেষ্টা করতে হবে।’’
জম্মু-কাশ্মীরের শোপিয়ানে সেনার একটি অভিযান ঘিরে গত কয়েক দিন ধরেই বিতর্ক চলছে। গত ১৮ জুলাই জঙ্গি সন্দেহে সেনার গুলিতে সেখানে নিহত হন রাজৌরির বাসিন্দা ইমতিয়াজ আহমেদ, আবরার আহমেদ এবং মহম্মদ ইবরার। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই তিন জনের ছবি ছড়িয়ে পড়তেই তাঁদের পরিবারের লোকেরা ওই যুবকদের শনাক্ত করেন। তাঁদের দাবি ছিল, কাজের খোঁজে শোপিয়ানে গিয়েছিলেন ওই তিন যুবক। ১৭ জুলাই থেকে তাঁদের সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায়নি। পর দিন সেনার গুলিতে মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিক্ষোভ শুরু হয়। ভুয়ো সংঘর্ষে ওই যুবকদের মারা হয়েছে বলে দাবি ওঠে।
আরও পড়ুন: লকডাউনে শুধুমাত্র শ্রমিক স্পেশালেই মৃত্যু ৯৭ পরিযায়ীর, মানল কেন্দ্র
আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরে ১৩৫০ কোটির প্যাকেজ কেন্দ্রের, এক বছর জল ও বিদ্যুতে ৫০ শতাংশ ছাড়
সেই ঘটনার তদন্তে নেমে সম্প্রতি সেনারতরফে জানানো হয় যে, শোপিয়ানে ভারতীয় জওয়ানরা যে আফস্পা লঙ্ঘন করেছেন, প্রাথমিক তদন্তে তা ধরা পড়েছে। দোষী প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত জওয়ানদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলেও সেনাবাহিনীর এক আধিকারিক জানান। এ দিন সংসদে সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে ফারুক আবদুল্লা বলেন, ‘‘সেনা মেনে নিয়েছে যে, ভুলবশত শোপিয়ানে ওই যুবকদের হত্যা করা হয়েছে। এতে খুশি আমি। আশাকরি সরকার নিহতদের পরিবারকে প্রাপ্য ক্ষতিপূরণ দেবে।’’