ফাইল ছবি।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ স্বীকৃতি দিল টাটা মেডিক্যাল অ্যান্ড ডায়াগনিস্টিকসের তৈরি করা ‘ওমিসিওর’ কিটকে। এর ফলে দেশীয় প্রযুক্তিতেই করোনা আক্রান্তের শরীরে ওমিক্রনের উপস্থিতি চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। ২০২১-এর ৩০ ডিসেম্বর টাটার মেডিক্যাল অ্যান্ড ডায়াগনিস্টিকস লিমিটেডের মুম্বইয়ের প্রধান কার্যালয়ে এসে পৌঁছয় আইসিএমআর-এর অনুমোদন।
দুনিয়া তোলপাড় করোনার নয়া রূপ ওমিক্রনে। সংক্রমণ ছড়াচ্ছে ঝড়ের গতিতে। এই অবস্থায় করোনা ধরা পড়ার পর কেউ ওমিক্রন রূপে আক্রান্ত হয়েছেন কি না, তা জানতে করতে হচ্ছে জিন পরীক্ষা (পরিভাষায় ‘জিনোম সিকোয়েন্সিং)। এ বার ওমিক্রন চিহ্নিতকরণের দেশীয় কিট বাজারে আসতে চলেছে। টাটা মেডিক্যাল অ্যান্ড ডায়াগনিস্টিকসের তৈরি করা ‘ওমিসিওর’ কিটকে ছাড়পত্র দিল আইসিএমআর। এর ফলে এখন থেকে দেশীয় প্রযুক্তিতেই নির্ণয় করা যাবে করোনা আক্রান্তের শরীরে ওমিক্রনের উপস্থিতি।
ফাইল চিত্র।
এত দিন ভারতে ওমিক্রন নির্ণয়ের জন্য যে যন্ত্রটি ব্যবহার করা হচ্ছিল, তা তৈরি করেছে আমেরিকার ‘থার্মো ফিশার’ নামে একটি চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী সংস্থা। এ বার ‘থার্মো ফিশার’-এর পাশাপাশি দেশীয় কিট ‘ওমিসিওর’-ও ব্যবহার হবে।
দেশে জিন পরীক্ষার বিষয়টি পুরোপুরি ভাবে কেন্দ্র নিয়ন্ত্রিত। বাংলায় কেউ ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন কি না জানতে, তাঁর নমুনা পাঠাতে হয় কল্যাণীর পরীক্ষাগারে। কিন্তু টাটার কিট আইসিএমআর-এর ছাড়পত্র পাওয়ার পর সেই সমস্যা খানিক কাটিয়ে ওঠা যাবে বলে মনে করছেন চিকিৎসকদের একটি অংশ। জরুরি পরিস্থিতিতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজেও সুবিধা হবে বলে মনে করছেন তাঁরা।