সচিন এবং সীমা। ফাইল চিত্র।
পাকিস্তানের যে সব জায়গায় তিনি থাকতেন গোয়েন্দাদের সেই জায়গার কথা জানিয়েছেন সীমা হায়দর। কিন্তু তিনি যে দীর্ঘ সময় করাচিতেও থাকতেন সেই তথ্যও হাতে এসেছে। এমনই দাবি করেছেন গোয়েন্দারা। পাকিস্তানের একাধিক জায়গার নাম বললেও, জেরায় করাচির বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছিলেন সীমা। গোয়েন্দাদের এক সূত্রে তেমনই দাবি করা হয়েছে। আর এখানেই সন্দেহ আরও গাঢ় হয়েছে গোয়েন্দাদের, তা হলে কি সীমাকে ঘিরে চরবৃত্তির যে সন্দেহ করা হচ্ছিল, সেটিই ঠিক?
করাচিতে কেন ছিলেন? কত দিন ধরে ছিলেন? কাদের সঙ্গে ওখানে থাকতেন, দেখা করতেন— এই সব তথ্য জোগাড়ে নেমে পড়েছেন গোয়েন্দারা। সীমা কি সত্যিই পাকিস্তানের চর, তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। আর সেই প্রশ্নের উত্তর পেতে গোয়েন্দারা লাগাতার জেরা করে চলেছেন পাক বধূকে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, জেরার সময় সীমা দাবি করেছেন, স্বামী গুলাম হায়দরের সঙ্গে সাড়ে চার বছর কোনও সম্পর্ক নেই তাঁদের। তিনি আলাদাই থাকতেন। কিন্তু এই সময় তিনি কোথায় কোথায় ছিলেন, এখন সেটাই খুঁজে বার করতে চাইছেন গোয়েন্দারা। সীমার দাবি সত্যি কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অন্য দিকে, সীমার স্বামী গুলাম হায়দর দাবি করেছিলেন, করাচিতে তিনি টাইলস লাগানোর কাজ করতেন। ২০১৯ সালে সৌদি আরবে চলে যান। এর পর সীমা করাচি ছাড়াও বেশ কিছু জায়গায় থেকেছিলেন। সেই জায়গাগুলি কোথায়, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা। কারণ, সীমা যে সব উত্তর দিয়েছেন, তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি তাঁরা, এমনই দাবি গোয়েন্দাদের এক সূত্রের। সীমাকে করাচি নিয়ে প্রশ্ন করা হচ্ছে বলে ওই সূত্রের দাবি। কত দিন সেখানে ছিলেন, কার বাড়িতে ছিলেন, কার কার সঙ্গে দেখা করতেন— সব জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। স্বামী গুলাম হায়দরকে ছাড়া সাড়ে চার বছর করাচিতে ছিলেন সীমা। আর এখানেই গোয়েন্দাদের সন্দেহ, সীমা আইএসআইয়ের পাঠানো চর নন তো? প্রথম থেকেই এই সন্দেহের আওতায় রাখা হয়েছে সীমাকে। আর সেই সূত্র ধরেই তদন্ত চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা।