পৃথিবীর সেরা সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলের সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করল ভারতীয় বায়ুসেনা। রাজস্থানের পোখরান ফায়ারিং রেঞ্জ থেকে শুক্রবার এই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত হানাই শুধু নয়, লক্ষ্যবস্তুকে নিমেষে ধ্বংসও করে দিয়েছে এই মিসাইল। আরও এক বার প্রমাণিত হয়েছে, পৃথিবীর সেরা ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্রহ্মসই।
পোখরান থেকে গর্জন করে লক্ষ্যবস্তুর
দিকে ব্রহ্মস। ছবি: পিটিআই।
স্থলবাহিনী, বায়ুসেনা এবং নৌবাহিনী— ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর এই তিনটি শাখার হাতেই এখন ব্রহ্মস রয়েছে। বায়ুসেনা কিছু দিন আগেই ৫০টি ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত করেছে। শুক্রবার যে পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপন হয়েছে, তা শুধুমাত্র ক্ষেপণাস্ত্রটির সক্ষমতা পরীক্ষা করার জন্য নয়। ব্রহ্মস ছুড়ে হামলা চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়াও এই পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের অন্যতম লক্ষ্য ছিল।
ভারত-রুশ যৌথ উদ্যোগে তৈরি ব্রহ্মসকে অনেক দিন ধরেই পৃথিবীর সেরা ক্রুজ মিসাইল বলা হয়। ২৯০ কিলোমিটার পাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্র শুক্রবার এত নির্ভুল ভাবে কাজ করেছে যে ব্রহ্মস এরোস্পেস কর্পোরেশনের সিইও তথা এমডি সুধীর মিশ্র বায়ুসেনাকে উচ্ছ্বসিত অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘ব্রহ্মস আবার নিজের সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে এবং আবার প্রমাণ করেছে বর্তমানে পৃথিবীর সেরা ক্রুজ মিসাইল হল ব্রহ্মসই।’’ ডিআরডিও প্রধান এস ক্রিস্টোফারও ব্রহ্মসের অসাধারাণ সাফল্যে উচ্ছ্বসিত।
আরও পড়ুন:
এস-৩০০ মিসাইল কোথায় মোতায়েন করল ভারত? চিন্তায় পাকিস্তান
প্রতিপক্ষের রেডার এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা ধ্বংস করার জন্যই বায়ুসেনা ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র নিয়েছে। যুদ্ধের সময় প্রতিপক্ষের এলাকায় হানা দেওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা রেডার এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা। ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র শব্দের চেয়েও অনেক দ্রুত বেগে ছুটে গিয়ে প্রতিপক্ষের রেডার এবং যোগাযোগ ব্যবস্থাকে শুইয়ে দিতে সক্ষম। তার পর ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান ঝাঁকে ঝাঁকে হানা দিলেও, সেগুলিকে রোখার ক্ষমতা হবে না প্রতিপক্ষের। শুক্রবার বায়ুসেনা সেই ধরনেরই একটি পরীক্ষা চালিয়েছে। তার অসামান্য সাফল্যে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকও খুশি।