অভিযুক্ত যুবক রক্ষিত চৌরাসিয়া। ছবি: সংগৃহীত।
তিনি মত্ত ছিলেন না। শুধু তা-ই নয়, চালকের আসনের এয়ারব্যাগ খুলে যাওয়ায় তিনি কিছু দেখতে পাচ্ছিলেন না। ফলে কে সামনে আসছে, কাকে ধাক্কা মারছেন তিনি বুঝতে পারছিলেন না! গুজরাতে বরোদায় গাড়িচাপা দেওয়ার ঘটনায় দাবি অভিযুক্ত যুবক রক্ষিত চৌরাসিয়ার। তাঁর আরও দাবি, গাড়ির চাকা রাস্তার গর্তে পড়ে যাওয়ার কারণে তিনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। তার জেরেই এই দুর্ঘটনা।
বৃহস্পতিবার রাতে বরোদার করেলিবাগ এলাকায় ব্যস্ত রাস্তায় একের পর এক পথচারীকে ধাক্কা মারেন রক্ষিত। এই ঘটনায় স্কুটিচালক এক মহিলার মৃত্যুও হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। ঘটনার পর পরই অভিযুক্তকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয়েরা। একের পর এক ধাক্কা মারার পরে গাড়ি থেকে নেমে চিৎকার করে অভিযুক্ত যুবক বলতে থাকেন, ‘‘আরও এক বার হয়ে যাক’’! এই ঘটনায় হুলস্থুল পড়ে যায় বরোদার করেলিবাগে।
পুলিশ সূত্রে খবর, রক্ষিত এবং তাঁর এক সঙ্গী হোলি উপলক্ষে একটি উৎসব থেকে ফিরছিলেন। ডেরা সার্কল থেকে ফেরার পথে এক বন্ধুকে বাড়িতে নামান। তার পর করেলিবাগের দিকে আসছিলেন। চালকের আসনে ছিলেন রক্ষিত। তাঁর দাবি, ‘‘আমি মদ্যপান করে গাড়ি চালাইনি। আমাদের সামনেই একটি স্কুটি যাচ্ছিল। রাস্তার ডান দিকে মোড় নিতেই একটি গর্তে গাড়ির চাকা পড়ে। ডান দিকে মোড় নেওয়ার সময় রাস্তার পাশে রাখা একটি স্কুটি এবং গাড়িতে হালকা ঘষা লাগে আমাদের গাড়িটির। আর তাতেই এয়ারব্যাগ খুলে যায়। তার পরে কী হয়েছে, গাড়ি কোন দিকে গিয়েছে বুঝতে পারিনি।’’ তবে দুর্ঘটনার সময় তাঁর গাড়ির গতি ঘণ্টায় ৫০-৬০ কিলোমিটার ছিল বলে দাবি অভিযুক্তের।
মদ্যপান করে গাড়ি চালাচ্ছিলেন না, এই দাবি করলেও বিশ্বাস হয়নি পুলিশের। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, জেরায় পরে অভিযুক্ত স্বীকার করেন তিনি ভাং খেয়েছিলেন। শুধু তা-ই নয়, তাঁর এই কাজের জন্য অনুতপ্তও বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত। আহত এবং মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের কাছে ক্ষমা চাইতেও রাজি বলে জানিয়েছেন যুবক। তাঁর জন্যই যে এই ঘটনা ঘটেছে, সেটা নিহত এবং আহতদের পরিবারকে জানাতে চান। তার জন্য যা শাস্তি দেবে ওই পরিবারগুলি, তা তিনি মেনে নিতে প্রস্তুত বলেও দাবি করেছেন অভিযুক্ত।