তাঁকে নাকি একদা নোবেল শান্তি পুরস্কারটা দেওয়ার জন্য রীতিমতো ঝুলোঝুলি করে ছিল নোবেল কমিটি! কিন্তু, তিনি সেটা হেলায় ফিরিয়ে ছিলেন! শুধু কী তাই? ভবিষ্যতেও তাঁকে এই পুরস্কার দেওয়ার প্রস্তাব দিলে তিনি মোটেও সে দিকে ফিরেও তাকাবেন না! এই সব দাবিই এক জনের। শ্রী শ্রী রবি শঙ্করের। শত বিতর্কের পরেও যমুনার তীরে কোটি কোটি টাকা খরচ করে মহা সমারোহে তাঁর ‘ওয়ার্ল্ড কালচার ফেস্টিভাল’ আপাতত সারা। কোল্যাটেরাল ড্যামেজ হিসেবে পরিবেশের বেজায় ক্ষতি অবশ্য তাঁর পদ্মবিভূষণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। মাত্র ৫ কোটি টাকা জরিমানা দিয়েই সব বিতর্ককে ফুত্কারে উড়িয়েছেন। কিন্তু, হঠাত্ করে নোবেলের প্রতি এই স্বঘোষিত ধর্মগুরুর এহেন বিতরাগের কারণ কী? কারণ এক জন। মালালা ইউসুফজাই।
শনিবার লাতুরের এক সাংবাদিক সম্মেলনে আর্ট অব লিভিং-এর প্রতিষ্ঠাতা জানিয়েছেন, যে দিন ১৬ বছরের এক কিশোরীর হাতে নোবেল শান্তি পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়েছে, সে দিন থেকে নোবেল পুরস্কার নাকি তার মর্যাদা হারিয়েছে। তাঁর মতে, ‘‘নোবেল এখন রাজনীতির খেলা মাত্র!’’
পাকিস্তানি কিশোরী মালালাকে নোবেল দেওয়া কী তা হলে ভুল ছিল? এই প্রশ্নের জবাবে ট্রেড মার্ক মুচকি হাসি দিয়ে রবি শঙ্করের সংক্ষিপ্ত উত্তর, ‘‘অর কেয়া।’’
আরও পড়ুন-ভারতে বোতলবন্দি ‘টাটকা’ বিদেশি বাতাস বেচবে কানাডার এক সংস্থা