প্রতীকী ছবি।
আশা পূরণ হয়নি আয়করে, এসেছে জাতীয় বাঁশ মিশন! বুধবার দিনভর আলাপচারিতায় ঘুরেফিরে এল সেই বাঁশের কথা।
টিভির পর্দায় চোখ ছিল সকলের। বাজেট পেশ করছেন অরুণ জেটলি। আয়করে ছাড় দিয়ে মধ্যবিত্তকে তিনি কিছুটা স্বস্তি দেবেন কি না, তা নিয়ে অধীর আগ্রহ। তার মধ্যেই ‘ব্রেকিং নিউজ’ হয়ে ভেসে উঠল বাজেটের নতুন ঘোষণা।
১২৯০ কোটি টাকা অর্থমন্ত্রী বরাদ্দ করেছেন জাতীয় বাঁশ মিশনকে ঢেলে সাজার জন্য। তিনি বলেছেন, বাঁশ হল সবুজ সোনা। সাধারণ চাকরিজীবী মানুষের চোখে অবশ্য সোনার আভা অচিরেই সর্ষেফুল হয়ে গেল। কারণ আয়করে সুবিধা মিলল না তেমন কিছুই। ৪০ হাজার টাকা ‘স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন’ ঘোষণা হলেও যাতায়াত আর চিকিৎসার ভাতা তার মধ্যে ঢুকে গেল! স্বাস্থ্য আর শিক্ষা সেস ১ শতাংশ বেড়ে হল ৪ শতাংশ!
হাতে রইল তবে কী?
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে চায়ের দোকান, উত্তর মজুত— জাতীয় বাঁশ মিশন! এ বারের বাজেটকে ওই নামেই ডাকছেন রসিকজন। পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় কটাক্ষ করে এমনও বললেন, ‘‘জাতীয় বাঁশ মিশন তো মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়া ইস্তক চালুই আছে! নামটাই যা নতুন হল!’’
আরও পড়ুন: মাইনে বাড়ল সাংসদদের, তবু অখুশি অনেকে
বাঁশের কারবারিরা অবশ্য খুশি। সরকার আগেই ঘোষণা করেছিল, অরণ্য এলাকার বাইরে বাঁশঝাড় আর গাছ বলে গণ্য হবে না, তাকে ঘাস হিসেবে দেখা হবে। চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যাটদের বার্ষিক সভায় গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজে বলে এসেছিলেন, ঘাসের গোত্রভুক্ত হলে বাঁশ কাটার নিয়মকানুন অনেক সহজ হয়ে যাবে। কৃষি-শিল্প উপকৃত হবে। বাঁশ মিশনের ঘোষণা থেকে অসম, মণিপুর, ত্রিপুরা, মেঘালয়-সহ বাঁশ চাষ ও বাঁশ শিল্পে উত্তর-পূর্বের বিশেষ রাজ্যগুলি লাভবান হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সামনেই ত্রিপুরা-মেঘালয়-নাগাল্যান্ডের ভোট। এই বাজারে বাঁশ-বাজেট পরোক্ষে তাদের খুশি করার চেষ্টা কি না, সে প্রশ্নটাও উঠছে কিন্তু।