Shraddha Walker murder case

রাগের বশে শ্রদ্ধাকে খুন, কোর্টে দাবি আফতাবের

শুনানির শেষে আদালত আফতাবের পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ আরও চার দিন বাড়িয়েছে। আফতাবের আইনজীবী অবিনাশ কুমার অবশ্য জানিয়েছেন, তাঁর মক্কেল খুনের বিষয়টি মোটেও স্বীকার করেনি আদালতে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২২ ০৭:২৪
Share:

ফাইল চিত্র।

রাগের মাথায় সে খুন করে ফেলেছে, আজ দিল্লির সাকেতের নিম্ন আদালতে শ্রদ্ধা ওয়ালকর খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুণাওয়ালা এমনটাই জানিয়েছে। এর পাশাপাশি সে জানায়, তার সম্পর্কে যা বলা হচ্ছে, তার সবটা সত্যি নয়। আফতাব জানিয়েছে, পুলিশের সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করছে সে। শ্রদ্ধার দেহাংশ কোথায়, কোথায় সে ফেলেছে, তার অবস্থানও পুলিশকে জানিয়েছে বলে দাবি আফতাবের। আদালতে আফতাব জানায়, তদন্তে আরও যা যা প্রয়োজন, তার জন্য সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবে সে। তবে এই খুনের বিষয়টি দীর্ঘ প্রক্রিয়া বলে অনেক কিছুই সে মনে করতে পারছে না।

Advertisement

আজ শুনানির শেষে আদালত আফতাবের পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ আরও চার দিন বাড়িয়েছে। আফতাবের আইনজীবী অবিনাশ কুমার অবশ্য জানিয়েছেন, তাঁর মক্কেল খুনের বিষয়টি মোটেও স্বীকার করেনি আদালতে। আফতাবের মামলাটি পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ নির্ভর। যা আফতাবকে সাহায্য করবে বলেই মনে করেন ওই আইনজীবী। এর পাশাপাশি অবিনাশ জানিয়েছেন, তাঁর মক্কেলের সুরক্ষার বিষয়টি বিবেচনা করেই ভিডিয়ো কনফারেন্সে শুনানির আয়োজন করা হয়েছিল। শুনানিতে আফতাবকে বিচারক জিজ্ঞেস করেছেন, জেরার সময়ে তার সঙ্গে কোনও অসহযোগিতা করা হচ্ছে কি না। এই প্রশ্নের উত্তরে আফতাব জানিয়েছে, তার এ নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই।

আজ শুনানিতে আফতাবের ফের পুলিশি হেফাজতে বিরোধিতা করে অবিনাশ জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই আফতাবের হেফাজতের মেয়াদের ১০ দিন কেটে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দু’দিন হেফাজত তদন্তের জন্য যথেষ্ট। যদিও শেষ পর্যন্ত আফতাবের জন্য চার দিনের মেয়াদ ধার্য করেছেন বিচারক।

Advertisement

এ দিকে শ্রদ্ধা খুনে দিল্লি পুলিশের তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে সিবিআই তদন্ত চেয়ে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল দিল্লি হাই কোর্টে। সেই আবেদন আজ খারিজ করে দিয়েছে প্রধান বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মার ডিভিশন বেঞ্চ।

ছতরপুরে যে ভাড়ার ফ্ল্যাটে আফতাবের সঙ্গে শ্রদ্ধা থাকতেন, তার বাথরুমের টাইলসে রক্তের নমুনা পেয়েছে ফরেন্সিক দল। দিল্লি পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, শ্রদ্ধার দেহ টুকরো টুকরো করার জন্য যে ব্লেড ও করাত আফতাব ব্যবহার করেছিল, সেগুলো গুরুগ্রামের এক ঝোপে ফেলে দিয়েছিল। এ ছাড়া ব্যবহার করা হয়েছিল মাংস কাটার একটি চপারও। সেটি দিল্লির মেহরৌলীর জঙ্গলে ফেলা হয়েছে। খুনের ওই সরঞ্জাম খুঁজে বার করার জন্য ইতিমধ্যে তল্লাশি শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ। সেখান থেকে যে সমস্ত তথ্যপ্রমাণ মিলেছে, তা সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে বলে দিল্লি পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement