উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন বিধায়ক আতিক আহমেদ। ফাইল চিত্র।
উমেশ পাল খুনের পর থেকে অভিযুক্ত আতিক আহমেদকে নিয়ে যখন সরগরম উত্তরপ্রদেশ, ঠিক সেই সময়েই এক সংবাদমাধ্যমে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের প্রাক্তন ডিজি ওপি সিংহ দাবি করলেন, ৩০ বছর আগেই প্রয়াগরাজ থেকে আতিকের ত্রাস শেষ করে দিতে পারতেন। কিন্তু পারেননি রাজনৈতিক চাপে। প্রাক্তন ডিজির এই মন্তব্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে উত্তরপ্রদেশে।
ওই সংবাদমাধ্যমে সিংহ দাবি করেছেন, ১৯৮৯-৯০ সালে তৎকালীন ইলাহাবাদের (বর্তমান প্রয়াগরাজ) পুলিশ সুপার পদে বদলি হয়ে এসেছিলেন। তখন আতিকের দৌরাত্ম্য চরমে ছিল। তাঁর বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের হয়েছিল। সেই মামলাতেই আতিকের ডেরায় তাঁর দলবল নিয়ে হানা দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই ডেরায় ঢুকতেই আতিকের কয়েকশো সমর্থক পুলিশকে ঘিরে ধরেছিল। প্রত্যেকেই সশস্ত্র ছিলেন। পুলিশকে গুলি করে মারার জন্য প্রস্তুত ছিলেন তাঁরা।
সিংহ বলেন, “যখন দেখলাম আতিকের বিশাল বাহিনী আমাদের ঘিরে ধরে খুন করতে উদ্যত, আতিককে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলাম, তোমার লোকেরা যদি আমাদের কারও উপর গুলি চালায়, তা হলে তুমি এবং তোমার সঙ্গীরা কেউই রেহাই পাবে না।” তাঁর দাবি, সে দিনই আতিককে তাঁর ডেরা থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসতেন। কিন্তু খালি হাতেই ফিরতে হয়েছিল। কারণ রাজনৈতিক চাপ তৈরি হচ্ছিল আতিককে যেন গ্রেফতার না করা হয়।
সিংহের কথায়, “সে দিনই যদি আতিককে গ্রেফতার করতাম, কিংবা গুলি করে মারতাম, তা হলে আজ প্রয়াগরাজে এই দিন দেখতে হত না। এই ত্রাস থাকত না।” দুষ্কৃতী দমনে যে ভাবে কাজ করেছিলেন প্রয়াগরাজে, তার প্রশংসা করেছিলেন সেই সময়ের বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। ইলাহাবাদের বাসিন্দাদেরও মন জয় করেছিলেন। কিন্তু সেই সময়ের শাসকদলের মদত ছিল আতিকের বাড়বাড়ন্তে। আর সে কারণেই উত্তরপ্রদেশের ত্রাস হয়ে ওঠার সাহস পেয়েছেন আতিক। এমনই দাবি করেছেন সিংহ।
প্রাক্তন ডিজির এই দাবি প্রসঙ্গে রাজ্য পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, মুখতার আনসারি এবং আতিক বিধায়ক ছিলেন। ফলে রাজ্যের রাজনীতিতে তাঁদের প্রভাব ছিল যথেষ্ট।