এনসিপির কার্যকরী সভানেত্রী সুপ্রিয়া সুলে। —ফাইল চিত্র।
শরদ পওয়ার গত কালই তাঁকে কার্যত নিজের ‘উত্তরসূরি’ বেছে নিয়েছেন। কন্যা সুপ্রিয়া সুলেকে এনসিপির কার্যকরী সভানেত্রীর পদ দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে প্রফুল্ল পটেলকেও কার্যকরী সভাপতি করেছেন পওয়ার। কিন্তু চর্চায় রয়েছেন সুপ্রিয়াই। এ প্রশ্নও উঠেছিল যে, শরদ পওয়ারের ভাইপো অজিত পওয়ার কী ভাবে নেবেন সুপ্রিয়ার এই ‘উত্তরণ’-কে। ‘স্বজনপোষণের’ অভিযোগ উঠলে তা-ই বা কী ভাবে সামলাবেন বাবা-মেয়ে?
আজ সুপ্রিয়া কিন্তু সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে রীতিমতো আগ্রাসী ভঙ্গিতে সামলালেন সেই প্রসঙ্গ। বললেন, ‘‘স্বজনপোষণ কথাটার থেকে তো পালিয়ে যেতে পারব না। আমার জন্মই একটা রাজনৈতিক পরিবারে। আমার উপরে বিশ্বাস রেখে গুরুদায়িত্ব দেওয়ার জন্য দলকে ধন্যবাদ।’’ এখানেই থামেননি সুপ্রিয়া। বলেছেন, ‘‘কোন দলে স্বজনপোষণ নেই? আপনি এটাকে বেছে বেছে ব্যবহার করতে পারেন না।... যখন আমরা স্বজনপোষণের প্রসঙ্গ তুলি, তখন কে কেমন কাজ করেছে, সেটা বলি না কেন?’’ সুপ্রিয়া বোঝাতে চেয়েছেন, তাঁর পারিবারিক পরিচয়ের চেয়ে বেশি জরুরি হল, সাংসদ হিসেবে তাঁর কাজের খতিয়ান। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘সংসদে আমার খতিয়ান দেখুন। সংসদটা আমার বাবা, কাকা কিংবা মা চালান না। লোকসভার তথ্য বলছে, সবচেয়ে ভাল কাজ করা সাংসদদের মধ্যে আমি শীর্ষ-তালিকায় রয়েছি। এখানে ব্যাপারটা স্বজনপোষণের নয়, উৎকর্ষের।’’
মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, পঞ্জাবের মতো রাজ্যের পাশাপাশি এনসিপির মহিলা, যুব সম্প্রদায়, ছাত্রছাত্রী এবং লোকসভা বিষয়ক কাজকর্ম দেখাশোনার দায়িত্বও সুপ্রিয়াকে দিয়েছেন পওয়ার। গত মাসে পওয়ার যখন এনসিপি প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন, তখনই দলের একাংশ নেতৃত্বে চেয়েছিলেন সুপ্রিয়াকে। কিন্তু অজিতকে নিয়ে চিন্তা রয়েই গিয়েছিল, বিশেষত যেখানে ২০১৯ সালে এই অজিতই বিজেপির দেবেন্দ্র ফডণবীসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তাঁর উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে ফেলেছিলেন। পরে পওয়ারের উদ্যোগেই তাঁদের সেই প্রয়াস ব্যর্থ হয়। মহারাষ্ট্রে গঠিত হয় জোট সরকার। হাল আমলেও অজিত ফের বিজেপির দিকে ঝুঁকছেন কি না এবং সেই জন্যই শরদ পওয়ারের উত্তরসূরি হওয়ার দৌড়ে সুপ্রিয়ার কাছে তিনি পিছিয়ে পড়লেন কি না, সেই জল্পনা চলছে গত কাল থেকেই। অজিত কাল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হননি। তবে টুইটারে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন সুপ্রিয়া-প্রফুল্লকে।