মঙ্গলবার দিল্লির রাজপথে। ছবি: পিটিআই
রাজধানীর দূষণ নিয়ে সাধারণ মানুষ থেকে নেতা-মন্ত্রীদের উদ্বেগ তো ছিলই। দূষণজনিত সংক্রান্ত জরুরি অবস্থা জারি করেও অবস্থার কিছু উন্নতি হয়নি। তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছে কেন্দ্র ও দিল্লির আপ সরকার। তার মধ্যেই কার্যত কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দিল দেশের শীর্ষ আদালত। ‘‘দূষণ এতটাই যে আমি মর্নিং ওয়াকেও বেরোতে পারি না,’’—মন্তব্য বিচারপতি অরুণ মিশ্রের।
দূষণ নিয়ে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলার শুনানি চলছিল বিচারপতি অরুণ মিশ্রের এজলাসে। সরকারের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেটাসবে সওয়াল করতে উঠেছেন। কিন্তু তিনি বলতে শুরু করার আগেই বিচারপতি প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন, ‘‘দিল্লিতে কী হচ্ছে? এত্ত দূষণ! মানুষ বাড়ি থেকে বেরোতে পারছে না। আমি খুব ভোরে উঠি। কিন্তু মর্নিং ওয়াকেও বেরোতে পারছি না।’’
১ নভেম্বর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত দিল্লিতে দূষণজনিত জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। সমস্ত রকম নির্মাণকার্য বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় সেই জরুরি অবস্থা আরও দু’দিন বাড়িয়ে দেওয়া হয়। তাতেও দূষণের মাত্রা কমেনি। বরং দেওয়ালির বাজি পোড়ানো এবং হাওয়ার গতি কম থাকায় ‘সিভিয়ার প্লাস’ বা ‘এমার্জেন্সি’ পর্যায়ে নেমে যায় দূষণ।
আরও পড়ুন: ‘আপনারা জিতে গেলেন, আমি হেরে গেলাম’, ফাঁসির আগে বলেছিল কাসভ
আরও পড়ুন: ‘চাপে নয়, রিলায়্যান্সকে বেছেছি আমরাই’, মোদীকে স্বস্তি দিয়ে দাবি দাসো সিইও-র
পরিস্থিতি বিচার করে পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ সোমবারই জানিয়েছিল, পরিস্থিতির আরও খারাপ হলে রাজধানীতে সিএনজি ছাড়া সব গাড়িই সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হতে পারে। ব্যক্তিগত এবং কমার্শিয়াল সব ক্ষেত্রেই এই নিয়ম লাগু হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছিল পর্ষদ।
ভারতের রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি- সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদেরদেশবিভাগে ক্লিক করুন।