—ফাইল চিত্র।
জরুরি অবস্থা নিয়ে বৃহস্পতিবার দিনভর কংগ্রেস ও গাঁধী পরিবারকে বিঁধে গিয়েছে গেরুয়া শিবির। তা নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি তিনি। কিন্তু বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে গিয়ে ঠাকুমার পরিচয়কেই ফের সামনে রাখলেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। জানিয়ে দিলেন, তিনি ইন্দিরা গাঁধীর নাতনি। তাঁকে হুমকি দিয়ে লাভ নেই। সকলের সামনে সত্যটা তুলে আনবেনই তিনি।
উত্তরপ্রদেশের কানপুরে একটি সরকারি হোমে সম্প্রতি বেশ কয়েক জন কিশোরী গর্ভবতী বলে জানা যায়। সেই নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই যোগী আদিত্যনাথ সরকারকে আক্রমণ করে আসছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা। কিন্তু পুরো সত্য না জেনে, ওই সরকারি হোম নিয়ে প্রিয়ঙ্কা বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছে রাজ্য প্রশাসন।
তার জেরে গতকাল প্রিয়ঙ্কাকে নোটিস ধরায় উত্তরপ্রদেশ চাইল্ড রাইটস প্যানেল। তিন দিনের মধ্যে তাঁর কাছ থেকে জবাব চাওয়া হয়। সেই নিয়েই এ দিন টুইটারে ফুঁসে ওঠেন প্রিয়ঙ্কা। তিনি লেখেন, ‘‘জনগণের সেবক হিসেবে উত্তরপ্রদেশের মানুষের কাছে দায়বদ্ধ আমি। সত্যটা সামনে আনা আমার কর্তব্য, সরকারি তত্ত্বের প্রচার করা নয়।’’
আরও পড়ুন: ‘কং জমানায় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণের টাকা পেয়েছিল রাজীব গাঁধী ফাউন্ডেশন’, চাঞ্চল্যকর দাবি নড্ডার
উত্তরপ্রদেশ সরকার তাঁকে হুমকি দিয়ে চলেছে বলেও অভিযোগ করেন প্রিয়ঙ্কা। তিনি বলেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশ সরকার বিভিন্ন দফতরের মাধ্যমে আমাকে হুমকি দিয়ে খামোখা সময় নষ্ট করছে। যা পারে করুক ওরা। সত্যিটা সামনে তুলে আনবই। আমি ইন্দিরা গাঁধীর নাতনি। বিরোধী পক্ষের কিছু নেতার মতো বিজেপির অঘোষিত মুখপাত্র নই।’’
ছত্তীসগঢ় বিজেপির টুইট।
এমনিতেই স্বজনপোষণ এবং পরিবারতন্ত্র নিয়ে কংগ্রেস ও গাঁধী পরিবারকে সর্বদা কটাক্ষ করে চলেন বিজেপি নেতারা। ঠাকুমার পরিচয়কে সামনে রাখায় এক বার ফের প্রিয়ঙ্কার উদ্দেশে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। প্রিয়ঙ্কার মন্তব্যকে উদ্ধৃত করে দলের ছত্তীসগঢ় শাখার তরফে টুইটারে লেখা হয়, ‘‘এটাই তাহলে আপনার যোগ্যতা। স্বজনপোষণ!’’
আরও পড়ুন: ওসামাকে শহিদ আখ্যা, ‘তালিবান খান’ তকমা জুটল ইমরানের
শুধুমাত্র কানপুর সরকারি হোম নিয়েই নয়, করোনা পরিস্থিতি সামাল দেওয়া নিয়েও লাগাতার উত্তরপ্রদেশ সরকারকে নিশানা করে আসছেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। রাজ্যে মৃত্যুসংখ্যা হু হু করে বাড়ছে বলে সম্প্রতি দাবি করেন তিনি। তা নিয়েও গত সপ্তাহে তাঁর তীব্র সমালোচনা করে আগরা প্রশাসন। প্রিয়ঙ্কার দাবি একেবারেই সত্যি নয় বলে জানায় তারা।