National News

গণতন্ত্রের ‘বস্ত্রহরণ’ করেছে কমিশন-টিআরএস-মিম! কংগ্রেসের ‘দ্রৌপদী’ কার্টুনে তীব্র বিতর্ক

কার্টুনের মূল বিষয়বস্তু, নির্বাচন কমিশন, টিআরএস এবং মিম মিলে তেলঙ্গানায় ভোট লুঠ করেছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

হায়দরাবাদ শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০১৯ ১৩:৩৩
Share:

কংগ্রেসের এই কার্টুন-পোস্টার ঘিরেই বিতর্ক। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া

প্রিয়ঙ্কা সক্রিয় রাজনীতিতে আসার ঘোষণার পর নতুন করে উজ্জীবিত কংগ্রেস। কিন্তু সেই অত্যুৎসাহে এবার তেলঙ্গানায় এমন কাণ্ড করে বসল যে তা নিয়ে বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছে দল। বৃহস্পতিবার হায়দরাবাদে একটি মিছিলে নির্বাচন কমিশনকে জড়িয়ে ‘দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ’ কার্টুন-পোস্টার ঘিরে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। রাহুল গাঁধীকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে, দাবি তুলেছে বিজেপি। তীব্র সমালোচনা করেছেন মজলিস এ ইত্তেহাদুল মুসলেমিন (মিম) প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়েইসি-ও। নির্বাচন কমিশন যদিও এখনও এ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করেনি। কার্টুনে বিতর্কিত কিছু নেই বলে দাবি করে ক্ষমা চাওয়ার দাবি উড়িয়ে দিয়েছে তেলঙ্গানা প্রদেশ কংগ্রেস।

Advertisement

বৃহস্পতিবার তেলঙ্গানার রাজধানী হায়দরবাদ শহরে একটি প্রতিবাদ মিছিল করে কংগ্রেস। সেই মিছিলে একটি কার্টুন ঘিরেই বিতর্কের সূত্রপাত। ওই কার্টুনে তুলে ধরা হয়েছে দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ পর্ব। তাতে দ্রোপদীর চরিত্রে সাধারণ ভোটার। তাঁর এক দিকে রয়েছেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও ও মিম প্রধান ওয়েইসি। আর অন্য দিকে নির্বাচন কমিশন। তিন পক্ষকে দেখানো হয়েছে কৌরবদের (মহাভারতে যাঁরা দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ করেছিলেন) প্রতীক হিসেবে। অর্থাৎ কার্টুনের মূল বিষয়বস্তু, নির্বাচন কমিশন, টিআরএস এবং মিম মিলে তেলঙ্গানায় ভোট লুঠ করেছে।

এই কার্টুন পোস্টার নিয়ে মিছিলের পর হায়দরাবাদ তো বটেই তেলঙ্গানা জুড়েই রাজনৈতিক ও বুদ্ধিজীবী মহলে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়। নানা মহল থেকে সমালোচনা আসতে শুরু করে। আর শুক্রবারই তেলঙ্গানায় বিজেপির মুখপাত্র কৃষ্ণ সাগর রাওদাবি জানিয়েছেন, রাহুল গাঁধীকে ক্ষমা চাইতে হবে। তাঁর বক্তব্য, ‘‘হিন্দু পৌরাণিক চরিত্রদের নিয়ে এরকম কার্টুন রাহুল গাঁধী বা সদ্য সক্রিয় রাজনীতিতে আসা প্রিয়ঙ্কা কি সমর্থন করেন?’’

Advertisement

আরও পড়ুন: উচ্চবর্ণের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের বিরুদ্ধে মামলা, কেন্দ্রকে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের

সম্প্রতি তেলঙ্গানা বিধানসভার ভোটে আগে থেকেই কেসিআর-এর তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির সঙ্গে জোট করে লড়েছে মিম। স্বাভাবিক ভাবেই কংগ্রেসের নিশানায় ছিলেন মিম প্রধান ওয়েইসি। কংগ্রেসের এই কার্টুন নিয়ে ওয়েইসি বলেন, ‘‘কেউ যদি সনিয়া-রাহুল-প্রিয়ঙ্কার এরকম কার্টুন তৈরি করে, তাহলে কংগ্রেস কী বলবে। কংগ্রেস তাঁদের প্রতিবাদ করতেই পারে, কিন্তু মহিলাদের এভাবে অপমান করতে পারে না।’’

আরও পডু়ন: চিনকে সমর্থন, প্রজাতন্ত্র দিবস বয়কটের ডাক দিল মিজোরাম

কংগ্রেস অবশ্য এখনও পর্যন্ত এই কার্টুনের মধ্যে অন্যায় বা বিতর্কের কিছু দেখছে না। দলের তেলঙ্গানার নির্বাচন কমিটির প্রধান মাররি শশীধর রেড্ডি বলেন, রাহুল বা স্থানীয় কংগ্রেস নেতাদের ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই নেই। আমি নিজে এই কার্টুন-পোস্টারের দায়িত্ব নিচ্ছি। এর মধ্যে হিন্দু ধর্মকে আঘাত করার মতো কিছুই নেই। বরং তেলঙ্গানায় গণতন্ত্রের বর্তমান পরিস্থিতিই এই কার্টুনে তুলে ধরা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন পর্যন্ত এখনও এ নিয়ে কিছু বলছে না। আমি নিজে হিন্দু হয়ে হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত লাগে এরকম কোনও কাজ করব না।

(ভারতের রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি- সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement