উদ্ধার হল বিপুল অঙ্কের বাতিল নোট। ছবি: সংগৃহীত।
বাড়িতে ঝুলছে তালা। লোকজন কেউ নেই। কিন্তু, সেখানে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার হল বিপুল অঙ্কের বাতিল নোট। বিমুদ্রাকরণের পর এই পরিমাণ ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট আগে মেলেনি।
ঠিক কত টাকা মিলেছে? তার সঠিক উত্তর দিতে পারেন পুলিশ। তারা জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৯৭ কোটি টাকার গণনা হয়েছে। বাকি টাকার গণনা চলছে! এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ বুধবার জানিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কানপুরের একটি বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। কানপুরের সিনিয়র পুলিশ সুপার এ কে মীনা জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সঙ্গে এই অভিযানে ছিলেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-এর গোয়েন্দারা। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ওই বাড়ির তালা বন্ধ। তালা ভেঙে বাড়ির ভিতরে ঢোকেন আধিকারিকেরা। এর পর সেখানে তল্লাশি শুরু করেন তাঁরা। সেখানে পাঁচটি বড় স্টিলের ট্রাঙ্ক, চটের বস্তা এবং কার্টনের মধ্যে থরে থরে রাখা ছিল বিপুল সংখ্যক বাতিল নোট।
আরও পড়ুন
অম্বানীর পর রাজ্যে লগ্নির প্রতিশ্রুতি আদানিরও
ওই নোট উদ্ধারের পরই আয়কর দফতর-সহ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের খবর পাঠানো হয়। বাজেয়াপ্ত করা নোটগুলির আর্থিক মূল্য জানতে তার গণনা শুরু করেছেন আধিকারিকেরা। মীনা বলেন, “বাজেয়াপ্ত নোটগুলির মূল্য প্রায় ১০০ কোটি টাকার কাছাকাছি হবে। ওই বাতিল নোটগুলির বদলে নতুন নোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ফড়েরা। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”
আরও পড়ুন
কাঁপছে উত্তর ভারত, ঠান্ডা কমলো কলকাতায়
গোয়েন্দাদের সন্দেহ, এই ঘটনার পিছনে রয়েছেন আনন্দ ক্ষত্রী নামে এক ব্যবসায়ী। টাকা নয়ছয়ের পিছনে তার হাত রয়েছে। এর সঙ্গে বহু লোকজন জড়িত বলেও ধারনা পুলিশের। উত্তরপ্রদেশের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ প্রধান আনন্দ কুমার বলেন, “ওই ব্যবসায়ী এই ধরনের কাজকর্মে জড়িত। টাকা বিনিময় চক্রের মূল পাণ্ডা সে।”
পুলিশ সূত্রের খবর, এই ঘটনার কোনও সরকারি আধিকারিক জড়িত কি না তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এলাকায় তল্লাশি অভিযান চলছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।