Gold

সিবিআই হেফাজত থেকে গায়েব সোনা

২০১২ সালে সুরানা কর্পোরেশন লিমিটেড নামে একটি সংস্থার অফিসে তল্লাশির সময়ে ৪০০.৪৭ কেজি সোনার বার ও গয়না বাজেয়াপ্ত করেছিল সিবিআই। তার মধ্যেই ১০৩ কেজি সোনার খোঁজ মিলছে না।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

চেন্নাই শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২০ ০৩:১৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

সিবিআইয়ের হেফাজত থেকে খোয়া গিয়েছে বাজেয়াপ্ত করা ১০৩ কেজি সোনা! তার বাজার দর প্রায় ৪৩ কোটি টাকা। চেন্নাইয়ের এই ঘটনায় তামিলনাড়ু পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ ও সিআইডি-কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। এই ঘটনায় তীব্র অস্বস্তিতে পড়ে সিবিআই হাইকোর্টকে বলেছিল, তাদের নিজস্ব তদন্ত চলছে। স্থানীয় পুলিশ বিষয়টির তদন্ত করলে তাদের মর্যাদাহানি হবে। বিচারপতি পি এন প্রকাশ সেই যুক্তি মানেননি।

Advertisement

২০১২ সালে সুরানা কর্পোরেশন লিমিটেড নামে একটি সংস্থার অফিসে তল্লাশির সময়ে ৪০০.৪৭ কেজি সোনার বার ও গয়না বাজেয়াপ্ত করেছিল সিবিআই। তার মধ্যেই ১০৩ কেজি সোনার খোঁজ মিলছে না। সুরানা কর্পোরেশন বিদেশ থেকে সোনা-রুপো আমদানি করত। নিয়ম-বহির্ভূত ভাবে প্রচুর গয়না আমদানির অভিযোগ ওঠায় তাদের কাছে গয়না এবং বারের আকারে থাকা বিপুল পরিমাণ সোনা বাজেয়াপ্ত করেছিল সিবিআই। ওই সংস্থার অফিসেই আলমারি ও ভল্টে সিবিআই নিজেদের তালা দিয়ে ওই সোনা রেখেছিল। তদন্তকারী সংস্থার বক্তব্য, এর ৭২টি চাবি তারা চেন্নাইয়ের সিবিআই আদালতে জমা দিয়েছিল।

তা হলে সোনা কমে গেল কী করে? সিবিআই সূত্রের দাবি, বাজেয়াপ্ত করার সময়ে ওই সোনা একসঙ্গে ওজন করা হয়েছিল। ২০১৯-এর ডিসেম্বরে ন্যাশনাল কোম্পানি ল’ ট্রাইবুনাল ওই সোনা সুরানা কর্পোরেশনের ঋণ শোধ করার জন্য এসবিআই-সহ ছ’টি ব্যাঙ্কের মধ্যে ভাগ করে দিতে বলে। তখন আলাদা আলাদা ভাবে সোনা ওজন করার সময়েই তারতম্য ধরা পড়ে। এসপি পদমর্যাদার কোনও আধিকারিকের নেতৃত্বে ছ’মাসের মধ্যে তদন্তের নির্দেশ দিয়ে বিচারপতি বলেন, ‘‘এটি কেন্দ্রীয় সংস্থার অগ্নিপরীক্ষা। তাদের হাত যদি সীতার মতো পরিষ্কার হয়, তা হলে তা আরও উজ্জ্বল হবে। আর তা না-হলে ফল ভুগতে হবে। সব পুলিশকে বিশ্বাস করতে হবে। সিবিআইয়ের বিশেষ ধরনের শিং আছে আর পুলিশের শুধু লেজ আছে— এমন কথা পরস্পরবিরোধী।’’ এফআইআর দায়ের না-হওয়া নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করে হাইকোর্ট।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement