COVID-19

ভোটের বিহারে ১৬০ টন কোভিড বর্জ্য

বিহারের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এচ আর শ্রীনিবাস জানাচ্ছেন, যেমন তেমন ভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেলে বর্জ্য থেকে সংক্রমণ ছড়াতে পারে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

পটনা শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২০ ০৩:১৬
Share:

বিহারে মাস্ক, গ্লাভস, স্যানিটাইজ়ারের পাত্র ইত্যাদি মিলিয়ে মোট ১৬০ টন বর্জ্য তৈরি হয়েছে। —প্রতীকী ছবি।

এমন নির্বাচন কখনও হয়নি ভারতে। কোভিড অতিমারির মধ্যে হাতে গোনা কয়েকটি জায়গায় স্থানীয় প্রশাসনের ভোট অবশ্য হয়েছে। রোগ ছড়ানোর আশঙ্কায় তা নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। অতিমারির মধ্যে প্রথম বিধানসভা নির্বাচন হল বিহারে। তিন দফার এই ভোটে করোনা সংক্রমণ এড়াতে তাই বেনজির বন্দোবস্ত করতে হয়েছিল নির্বাচন কমিশনকে। তাতে মাস্ক, গ্লাভস, স্যানিটাইজ়ারের পাত্র ইত্যাদি মিলিয়ে মোট ১৬০ টন বর্জ্য তৈরি হয়েছে। বিহারের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এচ আর শ্রীনিবাস জানাচ্ছেন, যেমন তেমন ভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেলে যা থেকে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। তাই এগুলিকে দূষণরোধী ব্যবস্থায় পুড়িয়ে ফেলারও আয়োজন করতে হয়েছে কমিশনকে।

Advertisement

প্রতি জেলায় বদ্ধ চেম্বারে বর্জ্য দহনের জন্য ‘ইনসিনারেটর’ রয়েছে আগে থেকেই। সেখানে এত দিন শুধু হাসপাতালের বর্জ্যই নষ্ট করা হত। এ বারে রাজ্যের জনস্বাস্থ্য দফতরের ওই কেন্দ্রগুলিতে জিপিএস নজরদারির মধ্যে সতর্কতার সঙ্গে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে ওই ভোটের বর্জ্য।

বিহারে ভোটার ৭.৩৮ কোটির বেশি। পথে বেরোতে হয়েছে ভোটকর্মী, নিরাপত্তারক্ষী ও বিপুল সংখ্যক ভোটারকে। ইভিএমের বোতাম চাপা, সই করার জন্য প্রত্যেক ভোটারকে দেওয়া হয়েছে গ্লাভস। এর জন্য কেনা হয়েছিল ৭.২১ কোটি এক হাতের পলিথিন গ্লাভ। ভোটকর্মীদের জন্য কেনা হয় ১৮ লক্ষ ‘ফেস শিল্ড’, ৭০ লক্ষ মাস্ক, এক বার ব্যবহারের ৫.৪ লক্ষ রবারের গ্লাভস। প্রতি ভোটকেন্দ্র তিন বার করে স্যানিটাইজ় করতে ও ভোটে যুক্ত সকলের জন্য কেনা হয়েছিল স্যানিটাইজ়ারের ১০০ ও ৫০০ মিলিলিটারের ২৯ লক্ষ বোতল। ভোট দিয়েছেন প্রায় ৫৭%, ২০১৫-র চেয়ে সামান্য হলেও বেশি। অব্যবহৃত সুরক্ষা সামগ্রী বাদ দিয়েও মোট ‘বায়োমেডিক্যাল’ বর্জ্যের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১,৬০,০০০ কেজি। এই বর্জ্য যথাস্থানে নেওয়া হচ্ছে কি না, সেটা নিশ্চিত করাও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ইভিএম ‘ট্র্যাক’ করার জন্য গাড়িতে ভোটকর্মীদের দু’জনের মোবাইলে বিশেষ অ্যাপ ডাউনলোড করতে হয়। নিখরচার সেই পদ্ধতিই ব্যবহার করা হয়েছে এ ক্ষেত্রেও।

Advertisement

আরও পড়ুন: লকডাউনে রাজি নন কেজরীবাল

আরও পড়ুন: চার মাসে দৈনিক সংক্রমণ সর্বনিম্ন​

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement