medicine

যে ওষুধ কিনছেন তা নকল নয় তো? বুঝে নিন এই ভাব‌ে

জাল ওষুধের কারবার মাথা চাড়া দিচ্ছে দেশজুড়ে।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৯:৩৫
Share:
০১ ১১

ওষুধের একটি বাজারেরই বার্ষিক আয় ১৭ হাজার কোটি! আয়ের বহর দেখেই নড়েচড়ে বসে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। এত টাকার ব্যবসা করা কী করে সম্ভব? শুরু হল তদন্ত। আর কেঁচো খুড়তে গিয়ে কেউটেটা বেরিয়ে এল। দেখা গেল এই বিশাল অঙ্কের বিক্রির পিছনে বেশ বড় ‘হাত’ রয়েছে জাল ওষুধের।

০২ ১১

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই বিশাল ব্যবসার প্রায় ১.৫ শতাংশ এসেছে জাল ওষুধ থেকে। ওষুধের মতো বিষয়ে যে পরিমাণটা যথেষ্টই বেশি। এর পরেই উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন জায়গা থেকে থেকে প্রায় ৬ কোটি টাকার জাল ওষুধ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

Advertisement
০৩ ১১

জানা গিয়েছে, ৫-১০% পর্যন্ত ছাড় মিলছে ওষুধে। এটা নিয়ে খুব সমস্যা না থাকলেও তদন্তকারীরা চমকেছেন অ্যান্টিবায়োটিকে ৩০ শতাংশ ছাড়ে। এতেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।

০৪ ১১

ঠিক কী ভাবে চিনে নেওয়া যায় জাল ওষুধ? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিনে নেওয়ার বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে। আর তা জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)।

০৫ ১১

হু বলছে, ১০টি মেডিক্যাল প্রোডাক্টের মধ্যে কম আয় বা মাঝারি আয়ের দেশগুলিতে একটা জাল বা খারাপ প্রোডাক্ট থাকবেই। ওষুধ কিনে প্রথমেই (বিশেষ করে বোতলজাত ওষুধের ক্ষেত্রে) দেখে নিন সিলের কোথাও কোনও গলদ আছে কি না।

০৬ ১১

ওষুধের ক্ষেত্রে প্যাকেজিং দেখে নিতে হবে। কী ফন্টে লেখা, কী বানান, কী রং, আগে যদি সেই ওষুধ কিনে থাকেন, তার সঙ্গে মোড়কটি মিলিয়ে নিতে হবে কোনও সংশয় হলেই।

০৭ ১১

আগে কেনা একই ওষুধের সঙ্গে রং, আকার, গঠনের মিল আছে কি না, ওষুধের কোথাও কোনও ভাঙা অংশ রয়েছে কি না, গুঁড়ো ওষুধ হলে, অতিরিক্ত পরিমাণে দেওয়া রয়েছে কি না, সেগুলিও মিলিয়ে নিতে হবে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে।

০৮ ১১

ওষুধটি ক্রিস্টালের (কেলাসাকার) মতো হলে, সে ক্ষেত্রে আগের কেনা ওষুধের মতোই কঠিন বা নরম কি না, কোথাও ফোলা অংশ বা দাগ রয়েছে কিনা, এগুলিও খতিয়ে দেখে নেওয়া প্রয়োজন।

০৯ ১১

ওষুধের দাম অসম্ভব বেশি বা কম হলে সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে আদৌ সেই ওষুধ ক্ষতিকারক বা জাল কি না, না অন্য কোনও কারণে দাম বেড়েছে বা কমেছে কিনা, তা দেখতে হবে। কারণ জাল ওষুধেই সবচেয়ে বেশি দামের হেরফের হয়।

১০ ১১

ওষুধ খাওয়ার পর আচমকা শরীর খারাপ হলে বা অ্যালার্জি হলে বা কোনও রকম অসুবিধা হলে প্রথমেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, প্রয়োজনে সেই ওষুধ খাওয়া বন্ধ করুন।

১১ ১১

ড্রাগ টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসরি বোর্ড জানিয়েছে, ওষুধ কিনে ক্রেতারা যদি ৯৯০১০৯৯০১০ নম্বরে ইউনিক ‘অথেনটিকেশন কোড’ এসএমএস করেন, ওষুধটি যেখান থেকে তৈরি, সেখানকার তরফে অথেনটিকেশন মেসেজ আসবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement