Pahalgam Terrorist Attack

তাক করা বন্দুক, প্রশ্ন ছিল নাম কী? ‘আমার নাম ভরত’, জবাব দিতেই বেঙ্গালুরুর যুবককে মাথায় গুলি করে মারে জঙ্গিরা

ভরতের বাবা বলেন, ‘‘কাশ্মীরের অপূর্ব দৃশ্য ভিডিয়ো কল করে দেখাচ্ছিল ভরত। আমাকে বলেছিল, বাবা আমরা পহেলগাঁও যাচ্ছি। সাবধানে যেতে বলেছিলাম। তার পরই ও ফোন কেটে দেয়।’’

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫ ১৫:১২
Share:
পহেলগাঁওয়ে নিহত বেঙ্গালুরুর তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী ভরত ভূষণ (বাঁ দিকে), স্ত্রী এবং পুত্রের সঙ্গে। ছবি: সংগৃহীত।

পহেলগাঁওয়ে নিহত বেঙ্গালুরুর তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী ভরত ভূষণ (বাঁ দিকে), স্ত্রী এবং পুত্রের সঙ্গে। ছবি: সংগৃহীত।

নাম জিজ্ঞাসা করেছিল জঙ্গিরা। জবাবে উত্তর দিয়েছিলেন ‘‘আমার নাম ভরত।’’ সঙ্গে সঙ্গেই মাথায় গুলি চালাল জঙ্গিরা। স্ত্রী-সন্তানের সামনেই বেঙ্গালুরুর তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীকে গুলি করে খুন করা হল ঠান্ডা মাথায়।

Advertisement

পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় যে ২৬ জন নিহত হয়েছেন, তার মধ্যে ছিলেন বেঙ্গালুরুর তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী ভরত ভূষণ। স্ত্রী সুজাতা এবং তিন বছরের পুত্রকে নিয়ে কাশ্মীরে বেড়াতে গিয়েছিলেন তাঁরা। মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ের বৈসরনে ছিলেন। হামলার কিছু ক্ষণ আগেই বাড়িতে ফোন করেছিলেন ভরত। বাবাকে ভিডিয়ো কলে পহেলগাঁওয়ের নৈসর্গিক দৃশ্য দেখাচ্ছিলেন। বাড়িতে কথা বলার কিছু ক্ষণের মধ্যেই জঙ্গিরা হামলা চালায়।

ভরতের স্ত্রী সুজাতা জানান, জঙ্গিরা কয়েক জন এসে প্রথমে নাম জিজ্ঞাসা করে। তাঁর স্বামী নিজের নাম বলতেই মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালায় এক জঙ্গি। বেঙ্গালুরুর সুন্দরনগরের বাসিন্দা ভরত। পুত্রের মৃত্যুর খবর বুধবার পেয়েছিলেন তাঁর বাবা চেন্নাবীরাপ্পা। তিনি বলেন, ‘‘খবরের কাগজ থেকে ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। বাড়ির অন্যেরা জানলেও আমাকে বলেনি।’’

Advertisement

ভরতের বাবা বলেন, ‘‘কাশ্মীরের অপূর্ব দৃশ্য ভিডিয়ো কল করে দেখাচ্ছিল ভরত। আমাকে বলেছিল, বাবা আমরা পহেলগাঁও যাচ্ছি। সাবধানে যেতে বলেছিলাম। তার পরই ও ফোন কেটে দেয়।’’ তিনি আরও জানান, বেলা সাড়ে ৩টে নাগাদ এক বন্ধু জানান, পহেলাগাঁওয়ে হামলা হয়েছে। প্রচুর লোক মারা গিয়েছেন। তার পরই টিভিতে খবর দেখার চেষ্টা করেন। কিন্তু ইন্টারনেট না থাকায় কাজ করছিল না সেটি। বড় ছেলের স্ত্রী তাঁকে জানান যে, প্রীতম এলে টিভি ঠিক করে দেবেন।

চেন্নাবীরাপ্পা বলেন, ‘‘সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ বড় ছেলে প্রীতম জানায় ভরত আহত হয়েছে। আমাকে কাশ্মীর যেতে হবে। প্রীতমের কথা শুনে একটু সন্দেহ হয়। তখনও জানতে পারিনি যে কী অঘটন ঘটে গিয়েছে।’’ ভরতের দাদা প্রীতম বলেন, ‘‘ছেলেকে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল ভাই। পাশেই ছিল সুজাতা। জঙ্গিরা এসে ভরতকে সুজাতার কাছে ছেলেকে দিতে বলে। তার পর নাম জিজ্ঞাসা করে। যখনই ভাই বলে, আমার নাম ভরত ভূষণ, সঙ্গে সঙ্গে মাথায় গুলি করে জঙ্গিরা।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement