জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান সেনার। ছবি: পিটিআই।
পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডে জড়িত পাক জঙ্গিদের ‘গাইড’ হিসাবে কাজ করেছিল অনন্তনাগ জেলারই স্থানীয় এক জঙ্গি। ঘটনাচক্রে, পহেলগাঁও পড়ে অনন্তনাগ জেলার মধ্যেই। মনে করা হচ্ছে, স্থানীয় এই জঙ্গির সাহায্য নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে পাক জঙ্গিরা। সূত্রের খবর, স্থানীয় ওই জঙ্গির নাম আদিল ঠোকর। উল্লেখ্য যে, এই অনন্তনাগের আরও এক আদিল সেই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। আর তাঁর শরীর ঝাঁঝরা হয়ে যায় সেই জঙ্গিদের গুলিতে। পুরো নাম সইদ আদিল হুসেন শাহ। পর্যটকদের ঘোড়ায় চড়িয়ে অর্থ উপার্জন করতেন তিনি। যে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ছিলেন ঘোড়াচালক সেই আদিলও।
সূত্রের খবর, জঙ্গি আদিল ঠোকর ২০১৮ সালে অটারী-ওয়াঘা সীমান্ত হয়ে পাকিস্তানে গিয়েছিল প্রশিক্ষণ নিতে। গত বছরেই আবার জম্মু-কাশ্মীরে ফিরে আসে সে। টাইম্স অফ ইন্ডিয়া-য় প্রতিবেদনে প্রকাশিত ওই সূত্রের দাবি, আদিল ঠোকর ওরফে আদিল গুরি অনন্তনাগেই রয়েছে। পাকিস্তান থেকে ফিরে আসার পর তাকে বেশ কয়েক বার দক্ষিণ কাশ্মীরেও দেখা গিয়েছিল। ওই সূত্রের দাবি, স্থানীয় বাসিন্দা হওয়ায় পহেলগাঁও এবং বৈসরনের ভৌগোলিক অবস্থান হাতের তালুর মতো চেনা তার।
সন্দেহ করা হচ্ছে, বৈসরনের এক পাশে ঘন পাইনের জঙ্গলেই জঙ্গিরা অপেক্ষা করেছিল। ওই সূত্রের দাবি, লুকোনো এবং হামলা চালিয়ে সহজে পালিয়ে যাওয়ার জন্য ওই জঙ্গলকে ব্যবহার করতে সাহায্য করেছে জঙ্গি আদিলই। ঘন পাইন বনে পাক জঙ্গিদের লুকোনোর ব্যবস্থা এবং হামলার আগে এলাকা পরিদর্শন করা, সব কিছুরই ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আর সেই ব্যবস্থা আদিলই করেছিল বলে সন্দেহ দৃঢ় হচ্ছে বলে ওই সূত্রের দাবি। মঙ্গলবার বৈসরনে জঙ্গি হামলায় নিহত হন ২৬ জন। সেই ঘটনা গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে। জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চলছে জম্মু-কাশ্মীর জুড়ে।