এই সেই সুড়ঙ্গের ছবি। ছবি: সংগৃহীত।
মঙ্গলবার ছত্তীসগঢ়ের দান্তেওয়াড়া জেলায় নিরাপত্তা কর্মীদের উপর সুপরিকল্পিত ভাবে হামলা চালিয়েছিল মাওবাদীরা! বাহিনীর উপর হামলা চালানোর জন্য ৩০ মিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গও খোঁড়া হয়েছিল। এমনটাই জানা গিয়েছে সেনা সূত্রে।
মঙ্গলবার দান্তেওয়াড়া-বিজাপুর জেলার সীমান্তবর্তী গ্রামে মাওবাদীরা গা ঢাকা দিয়েছে, এই খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় সিআরপিএফ, ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড এবং বস্তার ফাইটার্স-এর যৌথবাহিনী। এলাকায় অনুসন্ধান অভিযানও শুরু করে তারা। এর পরেই জওয়ানদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে মাওবাদীরা। পাল্টা গুলি চালায় বাহিনীও। বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, আধাসামরিক বাহিনীর উপর রকেট জাতীয় অস্ত্র এবং গ্রেনেড দিয়েও হামলা চালায় মাওবাদীরা। কিছু ক্ষণ গুলি বিনিময়ের পর মাওবাদীরা ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়। এর পর পুরো এলাকা সরেজমিনে খতিয়ে দেখার সময় ৩০ মিটার দীর্ঘ একটি সুড়ঙ্গ খুঁজে পায় বাহিনী।
মনে করা হচ্ছে, গোপন পথে জওয়ানদের উপর হামলা চালানোর কারণেই মাওবাদীরা ওই সুড়ঙ্গ তৈরি করেছিল। পাশাপাশি, গা ঢাকা দেওয়ার জন্য মাওবাদীরা সুড়ঙ্গের বাইরে একাধিক গর্ত খুঁড়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
মঙ্গলবার ছত্তীসগঢ়ে অন্য একটি মাওবাদী হামলায় রক্তও ঝরেছে নিরাপত্তা বাহিনীর। মঙ্গলবার বিকেলে বস্তার ডিভিশনের বিজাপুর জেলার তেকালগুডুম গ্রামের সিআরপিএফ শিবিরের অদূরে নিষিদ্ধ সিপিআই (মাওবাদী) গেরিলা বাহিনীর হামলায় অন্তত তিন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন ১৪ জন। বাহিনীর পাল্টা হামলায় ছ’জন মাওবাদীকেও নিকেশ করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। আহত জওয়ানদের মধ্যে কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আহত জওয়ানদের হেলিকপ্টারে করে রাজধানী রায়পুরে চিকিৎসার জন্য আনা হয় বলে পুলিশ সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত, গত ১৭ ডিসেম্বর সুকমা জেলাতেই মাওবাদী হামলায় এক সিআরপিএফ সাব-ইনস্পেক্টর নিহত হয়েছিলেন। এর পর চলতি মাসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ছত্তীসগঢ়ে গিয়ে ঘোষণা করেছিলেন, ২০২৪ সাল শেষ হওয়ার আগেই দেশ থেকে মাওবাদীদের পুরোপুরি নির্মূল করবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার।