সিদ্দারামাইয়া (বাঁ দিকে) ও ইয়েদুরাপ্পা।- ফাইল চিত্র।
কর্নাটকে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার ধরে রাখার জন্য আবার মূল ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে চলেছে লিঙ্গায়ত ও ভোক্কালিগাদের ট্র্যাডিশনাল লড়াই।
সিদ্দারামাইয়ার ‘অস্ত্র’ই এ বার সম্ভবত বেঙ্গালুরুর মসনদে টিঁকে থাকার ‘হাতিয়ার’ হয়ে উঠবে বি এস ইয়েদুরাপ্পার! বলা ভাল, অস্ত্রের ‘হাতবদল’ হচ্ছে! সেই অস্ত্রের নাম- লিঙ্গায়ত সম্প্রদায়।
লিঙ্গায়তদের মন জয় করে ভোটের আসরে কিস্তিমাতের স্বপ্ন দেখেছিলেন পূর্বতন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। ধর্মীয় সংখ্যালঘু শ্রেণির তকমা দিয়ে লিঙ্গায়তদের মধ্যে বিজেপি নেতা ইয়েদুরাপ্পার জনপ্রিয়তায় ভাগ বসাতে চেয়েছিল কংগ্রেস। কাজও হয়েছিল কিছুটা। প্রায় ডজনখানেক লিঙ্গায়ত প্রার্থী জয়ী হয়েছিলেন কংগ্রেসের টিকিটে।
ভোটের পর কংগ্রেসের সঙ্গে দেবগৌড়ার জেডি (এস) গাঁটছড়া বাঁধার ফলে ভোক্কালিগা নেতা এইচ ডি কুমারস্বামীর মুখ্যমন্ত্রীত্বের সম্ভাবনা জোরালো হয়ে ওঠায় কংগ্রেসের লিঙ্গায়ত বিধায়করা ক্ষুব্ধ। আর সেটাই কাজে লাগিয়ে বেঙ্গালুরুর মসনদে টিঁকে থাকতে চাইছেন লিঙ্গায়তদের বহু দিনের নেতা বিজেপি-র ইয়েদুরাপ্পা। কংগ্রেস-জেডি (এস) শিবির থেকে জনাবারো লিঙ্গায়ত বিধায়ক ভাঙিয়ে আনতে পারলেই ইয়েদুরাপ্পার কেল্লাফতে!
লিঙ্গায়ত আর ভোক্কালিগারা বরাবরই কর্নাটকের রাজনীতিতে
বিজেপি সূত্রের খবর, তাদের টার্গেটে রয়েছেন সদ্য জয়ী কংগ্রেস বিধায়কদের সেই ৩/৪ জনও, যাঁরা ভোটের আগে ভোক্কালিগাদের দল দেবগৌড়ার জেডি (এস)-এর সঙ্গে দলের গাঁটছড়া বাঁধার কট্টর বিরোধী ছিলেন।
আরও পড়ুন- মধ্যরাতে প্রায় বেনজির শুনানি, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সকালেই শপথ ইয়েদুরাপ্পার
আরও পড়ুন- বেঙ্গালুরুর ব্যালটে তুর্কি নাচ বাজারে
বৃহস্পতিবারই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন ইয়েদুরাপ্পা। রাজ্যপাল বজুভাই বালা তাঁকে ১৫ দিনের মধ্যে কর্নাটক বিধানসভায় তাঁর সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে বলেছেন।
বিজেপি-র আশা, ইয়েদুরাপ্পার মুখ্যমন্ত্রিত্ব টিঁকিয়ে দেবেন কংগ্রেস-জেডি (এস) শিবিরের লিঙ্গায়ত বিধায়করাই।