—ফাইল চিত্র।
বহুতল আবাসনে কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন রুক্মিণী বাঈ। লিফ্টে নীচে নামার সময় আচমকাই ঘটে গেল দুর্ঘটনা। আলো নিভে গিয়ে মাঝপথে ঝাঁকুনি দিয়ে থমকে গেল লিফ্ট। প্রায় ৪৫ মিনিট সেই বন্ধ লিফ্টে আটকে থাকার পরে যখন উদ্ধারকাজ শুরু হল, তখন হাত ফস্কে নীচে পড়ে গিয়ে মারা গেলেন রুক্মিণী। এই ঘটনায় অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার বিকালে। রাজস্থানের কোটা শহরের শ্যাম নগরে। পুলিশ সূত্রে খবর, রুক্মিণীর বয়স ৪৩। তিনি ওই আবাসনে পরিচারিকার কাজ করতেন। ঘটনাটি যখন ঘটে, তখন কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। বিদ্যুৎসংযোগের সমস্যার কারণে আচমকাই লিফ্ট থমকে যায় আবাসনের চতুর্থ এবং পঞ্চম তলের মাঝামাঝি এলাকায়। সাহায্য চেয়ে চিৎকার করতে থাকেন রুক্মিণী। সেই চিৎকার শুনতেও পান চতুর্থ তলের বাসিন্দা কয়েকজন মহিলা। রুক্মিণীকে উদ্ধার করতেও এগিয়ে যান তাঁরা। কিন্তু তার পরে দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই মহিলারা যখন রুক্মিণীকে লিফ্ট থেকে বার করে আনছিলেন, তখন তাঁদের হাত ফস্কে নীচে পড়ে যান তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, চারতলা থেকে একেবারে নীচে বৃষ্টির জলভর্তি ‘বেসমেন্টে’ পড়ে যান রুক্মিণী। দ্রুত তাঁকে সেখান থেকে উদ্ধারও করা হয়। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় রুক্মিণীকে। ওই ঘটনায় রুক্মিণীর পরিবার আর্থিক ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে ওই আবাসনের মালিকের কাছ থেকে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই আবাসনটির তিন মালিক মহেশ কুমার, বিনোদ কুমার এবং পবন কুমারের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে।