National News

সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘সুন্দরী’ ফাঁদ, হানিট্র্যাপ নিয়ে জওয়ানদের সতর্ক করল সেনা

আপাতত দু’টি হানি ট্র্যাপের হদিশ মিলেছে। একটি ফেসবুকে। অন্যটি ইনস্টাগ্রামে। ফেসবুকে যে অ্যাকউন্টটি খোলা হয়েছে, তার নাম- ‘গুজ্জর সৌম্যা’। আর ইনস্টাগ্রামে অ্যাকাউন্ট টালু হয়েছে ‘ওয়িসোমিয়া’ নামে। দু’টি অ্যাকাউন্টের প্রোফাইলই ‘যথেষ্ট সন্দেহজনক’ বলে মনে করছে সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা দফতর।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০১৯ ১২:০০
Share:

গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর গোপন গতিবিধি ও কাজকর্মের হালহদিশ জানতে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় সুন্দরীর ফাঁদ (হানি ট্র্যাপ) পেতেছে শত্রু দেশগুলি। সেনাবাহিনীর তরফে সোমবার এ ব্যাপারে সব জওয়ানের কাছে পাঠানো অ্যাডভাইসরিতে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

Advertisement

সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা দফতরের কার্যালয় ডিরেক্টরেট অব মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সের ওই অ্যাডভাইসরিতে বলা হয়েছে, আপাতত দু’টি হানি ট্র্যাপের হদিশ মিলেছে। একটি ফেসবুকে। অন্যটি ইনস্টাগ্রামে। ফেসবুকে যে অ্যাকউন্টটি খোলা হয়েছে, তার নাম- ‘গুজ্জর সৌম্যা’। আর ইনস্টাগ্রামে অ্যাকাউন্ট টালু হয়েছে ‘ওয়িসোমিয়া’ নামে। দু’টি অ্যাকাউন্টের প্রোফাইলই ‘যথেষ্ট সন্দেহজনক’ বলে মনে করছে সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা দফতর। তাদের সন্দেহ, গুপ্তচররাই হানি ট্র্যাপের অ্যাকাউন্ট খুলে সেনাবাহিনীর জওয়ান ও অফিসারদের সঙ্গে ভাব জমিয়ে তাঁদের গতিবিধি ও কাজকর্মের খবরাখবর জানতে চাইছে। জওয়ান ও অফিসারদের গুরুত্ব যাচাই করেই তাঁদের ফাঁদে ফেলার কৌশল নিয়েছে হানি ট্র্যাপরা।

সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা দফতরের অ্যাডভাইসরি বলছে, ‘‘ফেসবুকে ‘গুজ্জর সৌম্যা’ নামে যে অ্যাকাউন্টটি খুলেছে হানি ট্র্যাপরা, তার প্রোফাইলে জানানো হয়েছে, ওই মহিলা সেনাবাহিনীর প্রয়াত ক্যাপ্টেন পবন কুমারের বোন। ওই মহিলার দাবি, তিনি এখন আইআইটি বোম্বের রিসার্চ স্কলার। তিনি নাকি ২০১৪-য় এনটিএসই এবং ২০১৬-য় আইআইটি জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা পাশ করেছিলেন।’’

Advertisement

আরও পড়ুন- তীক্ষ্ণ শব্দে কান ফাটার উপক্রম, হবে মাথাব্যাথাও, বিক্ষোভ রুখতে আসছে ‘শব্দকামান’​

আরও পড়ুন- ফেসবুকে বন্ধুত্ব পাতিয়ে ৯ লাখ টাকা গেল প্রৌঢ়ের​

গত জানুয়ারিতে এক হানি ট্র্যাপের খপ্পরে পড়েছিলেন রাজস্থানের জয়সলমেঢ় জেলার আর্মার্ড কর্পসের সিপাই সোমভীর সিংহ। তদন্তে জানা গিয়েছিল পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই) ওই হানি ট্র্যাপকে ব্যবহার করেছিল সোমভীর কোথায় রয়েছেন, কী ঘরনের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, তা জানতে। সোমভীরকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement