যোগী আদিত্যনাথ।
হিন্দুত্বের বিরোধিতা করেন যাঁরা, তাঁরা আসলে উন্নয়নেরই বিরোধী— দাবি করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
অযোধ্যায় আসন্ন পুরভোটের প্রচার করতে গিয়ে একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে যোগী বলেন, ‘‘হিন্দুত্ব কোনও ধর্ম কিংবা জাতপাতের বিষয় নয়। হিন্দুত্ব আসলে ভারতের প্রাণশক্তি।’’ আদিত্যনাথের দাবি, ‘‘হিন্দুত্ব ও উন্নয়ন সমার্থক শব্দ। হিন্দুত্ব বলতে ভারতীয়ত্বকেই বোঝায়। ফলে যাঁরা হিন্দুত্বের বিরোধিতা করেন, তাঁরা শুধু দেশের উন্নয়নেরই বিরোধী নন, তাঁরা দেশের প্রাণশক্তি নিয়েই প্রশ্ন তোলেন।’’ এ ব্যাপারে কংগ্রেসকে ইঙ্গিত করে আক্রমণ করেন যোগী। বলেন, ‘‘যাঁরা রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্রে বিশ্বাসী, রাজনীতির অপরাধীকরণ যাঁদের অবদান— তাঁরাই হিন্দুত্বের বিরোধিতা করেন।’’
কাল থেকেই এই বিষয় নিয়ে বিতর্ক বাড়িয়েছেন আদিত্যনাথ। সোমবার ছত্তীসগঢ়ের রায়পুরে অনুষ্ঠানে যোগী বলেন, ‘‘আমার মতে, দেশের স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত সব থেকে বড় মিথ্যে শব্দটি হল ধর্মনিরপেক্ষতা। যাঁরা এই শব্দটি এত দিন ব্যবহার করেছেন, তাঁদের উচিত মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়া। কারণ, কোনও ব্যবস্থাই ধর্মনিরপেক্ষ হতে পারে না।’’ এর পরেই কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল পাল্টা তোপ দাগেন। যোগীকে নিশানা করে তাঁর মন্তব্য, ‘‘ মোদী সরকারকে রামরাজ্যের সঙ্গে তুলনা করেছেন আদিত্যনাথ। এটাই সব থেকে বড় মিথ্যা।’’ কাল যোগী দাবি করেন, বিজেপি জাতপাত কিংবা ধর্মের ভিত্তিতে বিভেদের সৃষ্টি করে না। দেশকে একটি পরিবার হিসেবে দেখে। বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের কথা টেনে মোদীর শাসনকে রাম রাজ্যের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন তিনি।
এর পরেই মাঠে নামেন সিব্বল।