সামাল: পাকড়াও ‘হিন্দু সেনা’ কর্মী। এ কে গোপালন ভবনে বুধবার। ছবি: পিটিআই।
সাংবাদিক সম্মেলনের জন্য এ কে গোপালন ভবনের দোতলার হলে সবে ঢুকতে যাচ্ছেন সীতারাম ইয়েচুরি। মারমুখী ভঙ্গিতে তাঁর দিকে ধেয়ে এল দুই যুবক। মুখে ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘সিপিএম মুর্দাবাদ’, ‘পাকিস্তান ওয়াপস যাও’-এর স্লোগান। ইয়েচুরির কাছে পৌঁছনোর আগেই অবশ্য তাদের ধরে ফেলেন সিপিএমের কর্মীরা। আটকে রাখা হয় পাশের একটি ঘরে। পরে দিল্লি পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, উপেন্দ্র কুমার ও পবন কাউল নামে দুই যুবক ‘হিন্দু সেনা’র কর্মী।
ঘটনার দায় স্বীকার করে হিন্দু সেনার প্রধান বিষ্ণু গুপ্তর যুক্তি, কাশ্মীরে সেনার ভূমিকার সমালোচনা করেছে সিপিএম। সেই কারণেই তাঁদের এই প্রতিবাদ।
এই ঘটনার জন্য আজ মোদী সরকার তথা সঙ্ঘ-পরিবারের অসহিষ্ণু, হিংসাত্মক মনোভাবের দিকেই আঙুল তুলেছেন সীতারাম ইয়েচুরি। ওই ঘটনার পরেই সাংবাদিক সম্মেলনে বসে তিনি বলেন, ‘‘এইভাবেই ওরা তৃতীয় বর্ষপূর্তি উদযাপন করছে। এটাই বোধহয় ওদের উদযাপনের কায়দা।’’ সঙ্ঘ-পরিবারের একটি সূত্রের অবশ্য দাবি, হিন্দু সেনা সরকারি ভাবে আরএসএস-র অনুমোদিত সংস্থা নয়। হিন্দু সেনাও কখনও এমন দাবি করেনি। এর আগে হিন্দু সেনা কখনও দিল্লিতে পাকিস্তান এয়ারলাইন্স দফতরে হামলা চালিয়েছে, কখনও ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্মদিন পালন করেছে। কখনও আবার কেরল ভবনে গোমাংস বিক্রি হচ্ছে বলে পুলিশ ডেকে এনেছে। পলিটব্যুরোর বৈঠকের জন্য এমনিতেই এবার এ কে গোপালন ভবনে কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত হয়েছিল। মোতায়ন ছিল সিআরপি ও দিল্লি পুলিশের সশস্ত্র বাহিনীও। তা সত্ত্বেও হিন্দু সেনার দুই সদস্য দোতলায় পৌঁছে গেল কী করে? সিপিএম কর্মীদের বক্তব্য, সাংবাদিক সম্মেলনের সময় ওই দু’জন হাজির হওয়াতে তাঁরা ওঁদের সংবাদ মাধ্যমের কর্মী হিসেবেই ধরে নিয়েছিলেন। দু’জনকে ধরে না ফেললে তাঁরা ইয়েচুরির গায়ে হাত তুলতেন বলেও দলের কর্মীদের দাবি।
আরও পড়ুন: ভুয়ো ডাক্তার ধরতে সিট সিআইডি-র