কিরেন রিজিজু। —ফাইল চিত্র।
ভারতের হিন্দু জনসংখ্যা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্যের জেরে প্রবল বিতর্কে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু। হিন্দুরা কারওকে ধর্মান্তরিত করেন না, তাই ভারতে হিন্দুর সংখ্যা কমছে। এমনই মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। রিজিজুর এই টুইট বার্তা আসলে কংগ্রেসকে আক্রমণ করে পোস্ট করা হয়েছিল। কিন্তু তা নিয়ে বিরোধী দলগুলি থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করেছে।
কিরেন রিজিজু টুইটারে ঠিক কী লিখেছেন? তিনি লিখেছেন, ‘‘ভারতে হিন্দু জনসংখ্যা কমছে, কারণ হিন্দুরা কারওকে ধর্মান্তরিত করেন না। সংখ্যালঘুরা ভারতে বাড়ছেন, আশপাশের দেশগুলিতে যা হচ্ছে না।’’ কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে গিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেছেন।
এই সেই বিতর্কিত টুইট।
অরুণাচল প্রদেশের কংগ্রেস নেতৃত্ব সম্প্রতি বিজেপির বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগ তুলেছে। রিজিজুর টুইট তারই পাল্টা। রিজিজু তাঁর টুইটে একটি মিডিয়া রিপোর্ট ধরেছেন। তাতে অরুণাচল প্রদেশের কংগ্রেস নেতৃত্বের একটি বিতর্কিত মন্তব্য রয়েছে। নরেন্দ্র মোদীর সরকার অরুণাচল প্রদেশকে একটি হিন্দু রাজ্যে পরিণত করতে চায়, রাজ্যের কংগ্রেস নেতৃত্ব সম্প্রতি এমন মন্তব্যই করেছেন বলে মিডিয়া রিপোর্টটিতে দেখা যাচ্ছে। অরুণাচল প্রদেশের বিভিন্ন উপজাতিদের স্বাধীন এবং সমৃদ্ধ সংস্কৃতি বিজেপি-র শাসনে সঙ্কটে পড়েছে বলেও নাকি অরুণাচলের কংগ্রেস নেতারা প্রচার চালাচ্ছেন। মিডিয়া রিপোর্টেই এ কথা উঠে এসেছে। সেই রিপোর্টকে টুইটারে তুলে ধরেই আক্রমণে গিয়েছেন রিজিজু। কিন্তু তিনি যে মন্তব্য করেছেন, তা আরও বড় বিতর্ক উস্কে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘ও রকম ১০০০ পনীর দেখা আছে, আমি কাউকে ভয় পাই না’
সবচেয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া এসেছে হায়দরাবাদের সাংসদ তথা এমআইএম নেতা আসাদুদ্দিন ওয়েইসির তরফ থেকে। তিনি বলেছেন, ‘‘কিরেন রিজিজুর মনে রাখা উচিত তিনি ভারতের মন্ত্রী এবং সব ভারতীয়ের মন্ত্রী, শুধু হিন্দুদের নন।’’ প্রতিবেশী দেশগুলিতে সংখ্যালঘুদের কী অবস্থা, তা জেনে ভারতীয় সংখ্যালঘুরা কী করবেন? এমন প্রশ্নও তুলেছেন ওয়েইসি।