Allahabad High Court

সাত পাকে না ঘুরলে বৈধ নয় হিন্দু বিবাহ! একটি মামলায় পর্যবেক্ষণ ইলাহাবাদ হাই কোর্টের

মামলা খারিজ করে ইলাহাবাদ হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, “হিন্দু বিবাহ আইনে সপ্তপদী বা সাত পাকে ঘোরার বিশেষ গুরুত্ব আছে। কিন্তু এই মামলায় সেই উপচার না মানার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

লখনউ শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৩ ১০:৫২
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

স্বামী এবং স্ত্রী সাত পাকে বাঁধা পড়লে তবেই তাকে বিবাহ বলা হবে। নয়তো হিন্দু বিবাহের রীতি অনুসারে সেটিকে বৈধ বিয়ে বলে স্বীকৃতি দেওয়া যাবে না। একটি মামলায় এমনই পর্যবেক্ষণের কথা জানাল ইলাহাবাদ হাই কোর্ট। স্ত্রীর বিরুদ্ধে ডিভোর্স বা বিবাহবিচ্ছেদ না করেই দ্বিতীয় বিয়ে করার অভিযোগ করে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রাক্তন স্বামী। প্রাক্তন স্বামীর করা মামলা খারিজ করে দিয়েছে হাই কোর্ট।

Advertisement

এই মামলায় আদালতের পর্যবেক্ষণ, “যদি বিয়ের উভয় পক্ষের জন্যই প্রযুক্ত আইন মানা না হয়, তবে আইনগত দিক থেকে সেই বিয়েকে স্বীকৃতি দেওয়া যায় না।” এই প্রসঙ্গেই আদালতের সংযোজন, “হিন্দু বিবাহ আইনে সপ্তপদী বা সাত পাকে ঘোরার বিশেষ গুরুত্ব আছে। কিন্তু এই মামলায় সেই উপচার না মানার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে।” এ ক্ষেত্রে ১৯৫৫ সালের হিন্দু বিবাহ আইনের ৭ নম্বর অনুচ্ছেদের উপর জোর দিয়েছে ইলাহাবাদ হাই কোর্ট।

স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকের বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ তুলে অন্যত্র থাকতে শুরু করেন স্মৃতি সিংহ। স্বামী সত্যম সিংহের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন স্বামীও। সত্যমের অভিযোগ ছিল, তাঁর স্ত্রী অন্য সম্পর্কে লিপ্ত। পরে যদিও সেই অভিযোগ মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়। তার পর স্ত্রীর বিরুদ্ধে বিবাহবিচ্ছেদ না করেই দ্বিতীয় বিয়ে করার অভিযোগে আদালতে যান সত্যম। মামলা করেন স্মৃতিও। স্বামীর করা মামলা খারিজ করে দিয়ে আদালত জানাল, সাত পাক না ঘুরলে সেই বিয়ের কোনও বৈধতাই নেই।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement