KLO

KLO: শান্তি বৈঠক নিয়ে জীবন-পুত্র, পশ্চিমবঙ্গকে ডাকবেন কি না হিমন্তই বুঝবেন

জীবন সিংহ আপাতত অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মার সঙ্গে কথা বলবেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে আলোচনায় এখনও আগ্রহ দেখাচ্ছে না কেএলও।

Advertisement

রাজীবাক্ষ রক্ষিত ও নমিতেশ ঘোষ

গুয়াহাটি ও কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২১ ০৭:১৭
Share:

অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। —ফাইল চিত্র।

সব ঠিক থাকলে কিছু দিনের মধ্যে হিমন্তবিশ্ব শর্মার সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসতে চলেছেন কেএলও শীর্ষ নেতৃত্ব। তার আগে সাড়ে তিনশো কেএলও জঙ্গি আত্মসমর্পণও করতে পারেন। জীবনের ‘ধর্মপুত্র’ বলে পরিচিত দিবাকর দেবরাজ সিংহ মায়ানমারের দিকে শীঘ্রই রওনা দিতে চান। কিন্তু যে পশ্চিমবঙ্গে কেএলও-র প্রভাব যথেষ্ট, সেই রাজ্য থেকে কেউ কি আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন বা ডাক পেয়েছেন?

Advertisement

জানা গিয়েছে, জীবন সিংহ আপাতত অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মার সঙ্গে কথা বলবেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে আলোচনায় এখনও আগ্রহ দেখাচ্ছে না কেএলও। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, গোটা বিষয়টিই নিয়ন্ত্রণ করছে কেন্দ্র ও অসমের বিজেপি সরকার। কিন্তু কামতাপুরের দাবির অবিচ্ছেদ্য অংশ উত্তরবঙ্গ। সে ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে বাদ দিয়ে কী ভাবে আলোচনা সম্ভব? দিবাকর বলেন, “বিষয়টি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপরে ছেড়েছিলাম। পশ্চিমবঙ্গ ও অসম দুই-ই ভারতের অংশ। তাই যে কোনও জায়গায় আলোচনা শুরু করা সম্ভব। অমিত শাহ যে হেতু হিমন্তকে আলোচনা চালানোর দায়িত্ব দিয়েছেন, সে ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রয়োজনে অসমের মুখ্যমন্ত্রী কথা বলবেন।” একই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘‘অসমের হিমন্ত সরকার আমাদের আলোচনায় ডেকেছে কিন্তু এত বছরেও বাংলা সরকার বা মমতা ডাকেননি। তা হলে এখন তাঁর গায়ে জ্বালা হচ্ছে কেন? ঝামেলা না করে কামতাপুর গঠনে সহযোগিতা করুন মমতা।’’ আলোচনায় কী ভূমিকা থাকবে গ্রেটার কোচবিহারের নেতা অনন্ত মহারাজের? দিবাকর জানান, দরকার মতো সকলের সঙ্গেই কথা বলা হবে। অনন্ত মহারাজ বলেন, “এই বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। সরকার যা ভাল মনে করবে, তাই করবে।” টম ফোন ধরেননি। তবে প্রাক্তন কেএলও তথা লিঙ্কম্যানদের একটি সংগঠনের সভাপতি পুলস্থ বর্মণ বলেন, ‘‘অসম ও উত্তরবঙ্গকে নিয়েই এই সমস্যার রাজনৈতিক সমাধান করা হোক।’’ যাঁর নাম করে হুমকি দিয়েছিলেন জীবন, কোচবিহারের সেই তৃণমূল নেতা পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গকে ফের অশান্ত করার চেষ্টা হলে মেনে নেব না।’’ তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে এখনও কিছুই বলা হয়নি।

জীবনের পরিবার এখন থাকেন আলিপুরদুয়ারের উত্তর হলদিবাড়িতে। তাঁদের সঙ্গে এবং প্রাক্তন কেএলও অধিকারীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখে চলা ধুবুড়ির দিবাকরই কেএলও-র শান্তি আলোচনার প্রস্তাব নিয়ে প্রথম আলোচনা করেন অসমের শ্রমমন্ত্রী সঞ্জয় কিষাণের সঙ্গে। এর পরে হিমন্তের সঙ্গে একাধিক বার বৈঠক হয় দিবাকরের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement