ফাইল ছবি
বন্যার্তদের সাহায্য, অনুদান বা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ক্ষেত্রে নথিপত্রের কড়াকড়ি না করে মানবিক দৃষ্টিতে কাজ করতে জেলাশাসকদের নির্দেশ দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। পাশাপাশি কড়া সুরে তিনি এ-ও বলেছেন, ‘‘অন্যায্য ভাবে এক জনও যেন এই তালিকাভুক্ত না হন।’’ জেলা প্রশাসনের পাঠানো তালিকা বিভিন্ন মাধ্যমে খতিয়ে দেখা হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
জেলাশাসকদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে হিমন্ত ঘোষণা করেছেন, বাড়িঘর ছেড়ে আসা বন্যার্তদের প্রতিটি পরিবারকে ৩৮০০ টাকা করে দেওয়া হবে। ৫ জুলাইয়ের মধ্যে তালিকা তৈরির কাজ সেরে নেওয়া হবে। এর জন্য প্রতি পরিবারের প্রধানের ভোটার কার্ড নম্বর বা আধার নম্বর উল্লেখ করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, দু’টির কোনওটি সঙ্গে না থাকলেও আশ্রয় শিবিরে যেন কেউ বঞ্চিত না হন। পরে নম্বর সংগ্রহ করে পাঠালেও হবে। টাকা দিতে হবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে। অ্যাকাউন্ট না থাকলে বিশেষ ক্ষেত্রে অ্যাকাউন্ট পেয়ি চেক দিতেও আপত্তি নেই। আশ্রয় শিবির ছেড়ে বাড়ি ফিরলেও আর্থিক সাহায্য মিলবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, বন্যায় মৃত অনেকেরই ময়না-তদন্ত হয়নি। তবু তাঁদের পরিবারকে চার লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে।
দ্বিতীয় পর্যায়ে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বাড়িঘরের জন্য। যাঁদের বাড়ি পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাঁদের ৯৫ হাজার টাকা করে এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্তদের ৫০০০ টাকা করে দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রেও বেশি কড়া না হতে বলেছেন হিমন্ত।