হিলাচল প্রদেশে বিজেপির জয়ের পূর্বাভাস বুথ ফেরত সমীক্ষায়। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
‘রাজ’ বদলাবে, না কি ‘রেওয়াজ’? এই প্রশ্নের উত্তর দিতেই গত ১২ নভেম্বর ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছিল বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডার রাজ্য হিমাচল। সোমবার গুজরাতের ভোট শেষের পর নির্বাচনী বিধি মেনে প্রকাশিত হয়েছে হিমাচলের বিধানসভা ভোটের বুথ ফেরত সমীক্ষা। তার অধিকাংশই জানাচ্ছে, ‘পরিবর্তনের রেওয়াজ’ বদলে হিমালয় ঘেরা রাজ্যে ক্ষমতার ফিরতে চলেছে পদ্ম-শিবির। তবে লড়াই হতে পারে হাড্ডাহাড্ডি।
গত ৩৭ বছরে কোনও দল পর পর দু’বার জিতে ক্ষমতায় আসতে পারেনি হিমাচলে। এ বারের ভোটে সেই রেকর্ড ভাঙতে মরিয়া নরেন্দ্র মোদীর দল স্লোগান তুলেছিল ‘রাজ নহি রেওয়াজ বদলো’ (ক্ষমতার বদল নয়, প্রথা বদল করো)। তবে মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, আপেলের ন্যায্য দাম না পাওয়া, সারের অপ্রতুলতার মতো সমস্যার পাশাপাশি শাসক শিবিরকে চিন্তায় রেখেছিলেন বিদ্রোহী নেতারা। রাজ্যের ৬৮টির মধ্যে অন্তত ২০টি আসনে বিদ্রোহী নেতাদের সঙ্গে লড়াইয়ে নামতে হয়েছিল বিজেপি প্রার্থীদের।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার সেই রেওয়াজকে ভুল প্রমাণিত করে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর বিজেপি ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে বলে অধিকাংশ বুথ ফেরত সমীক্ষায় পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, পাশের রাজ্য পঞ্জাবে ক্ষমতা দখল করলেও শূন্য হাতেই ফিরতে হবে অরবিন্দ কেজরীবালের আম আদমি পার্টিকে।
যদিও ভোটে এমন বুথ ফেরত সমীক্ষার ফল সব সময় যে মেলে, তা নয়। কিন্তু এর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি থাকায়, এই ধরনের সমীক্ষাকে অস্বীকার করাও যায় না বলে ভোট পণ্ডিতদের একাংশ মনে করেন। আগামী বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) গণনার দিনেই আসল ফল জানা যাবে।
২০১৭-য় কংগ্রেস সরকারের পতন ঘটিয়ে শিমলার কুর্সি দখল করেছিল নড্ডার দল। বিজেপি ৪৪ এবং কংগ্রেস ২১টি আসনে জিতেছিল। সিপিএম ১ এবং নির্দল প্রার্থীরা ২টি বিধানসভা কেন্দ্রে জিতেছিলেন সে সময়। এ বার ভোটের ২ দিন আগে এবিপি-সি ভোটারের জনমত সমীক্ষায় ইঙ্গিত, ৬৮ আসনের বিধানসভায় ৩১-৩৯টি আসন পেতে পারে বিজেপি। কংগ্রেস পেতে পারে ২৯-৩৭টি আসন। সোমবার এবিপি-সি ভোটারের বুথ ফেরত সমীক্ষা জানাচ্ছে, বিজেপি ৩৩-৪১, কংগ্রেস ২৪-৩২, আপ ০ এবং নির্দল ও অন্যেরা ০-৪ আসনে জিততে পারে।