ব্যাঙ্ক খুলতেই নোট বদলের ভিড় গ্রাহকদের। বৃহস্পতিবার করিমগঞ্জে উত্তম মুহরীর তোলা ছবি।
মোদী সরকারের ৫০০ ও ১ হাজার টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে বিপাকে ডিমা হাসাওয়ের সাধারণ মানুষ। সমস্যা ব্যবসায়ী, দোকানিরা। খুচরো নোটের অভাবে কেনাবেচা কার্যত থমকে গিয়েছে গোটা জেলায়।
পাহাড়ি জেলার গ্রামে গ্রামে ছবিটা আরও জটিল। অনেকে ৫০০ বা ১ হাজার টাকার নোট নিয়ে বাজারে গিয়েও ফিরেছেন কালি হাতে। গত কাল পর্যন্ত হাফলং শহরের পেট্রোল পাম্প, ওষুধের দোকানে ওই সব নোট চললেও, আজ থেকে তা-ও বন্ধ।
এ দিন পাহাড়ি জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ব্যাঙ্ক খুললেও সেখানে পৌঁছয়নি নতুন ২ হাজার ও ৫০০ টাকার নোট। ব্যাঙ্কে টাকা বদল করতে লাইন দিয়েও নতুন নোট পাননি কেউ। ৫০০ ও ১ হাজার টাকার পুরনো নোট নিজের আক্যাউন্টে জমা দিয়ে বাড়ির পথ ধরতে হয়েছে। তবে ‘স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’র হাফলং শাখায় ৫০০ টাকার নোট না পৌঁছলেও ২ হাজার টাকার নোট এসেছে।
সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, ৪ হাজার টাকার নোট বদল করতে গিয়ে অনেকে ওই ব্যাঙ্ক থেকে একটি ২ হাজার টাকার নোট ও ১০ টাকার বান্ডিলে বাকি টাকা পেয়েছেন।
রাষ্ট্রায়ত্ত ওই ব্যাঙ্কের চিফ ম্যানেজার গৌরীশঙ্কর দাস জানান, গ্রাহকদের সুবিধার জন্য আজ ও আগামী কাল সন্ধে ৬টা পর্যন্ত ব্যাঙ্ক খোলা থাকবে। কাজ হবে শনি ও রবিবার। তিনি জানিয়েছেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে তাঁদের শাখায় পৌঁছনো ২ হাজার টাকার নোটের কিছুটা জেলার অন্য কয়েকটি ব্যাঙ্কে পাঠানো হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ওই ব্যাঙ্কের কর্তা আরও জানিয়েছেন, আগামী কাল থেকে এটিএম ব্যবহার করতে পারবেন গ্রাহকরা। হাফলং শহরে এটিএম আজ বন্ধ ছিল।
৫০০ ও ১ হাজার টাকার নোট বাতিল হওয়ায় সব চেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন পাহাড়ি জেলার প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দারা। টাকা বদলাতে হলে তাঁদের কয়েকশো কিলোমিটার দূরের হাফলং, মাহুর, মাইবাং ও লাংটিং এলাকার
ব্যাঙ্কে যেতে হবে। দীর্ঘদিন ডিমা হাসাও জেলায় জঙ্গি সমস্যার জেরে কোনও ব্যাঙ্কই প্রত্যন্ত জায়গায় শাখা খুলতে চায়নি। বিভিন্ন শহর এলাকাতেই ব্যাঙ্কের শাখা রয়েছে।