গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
হিজাব বিতর্কে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মন্তব্য না করতে আন্তর্জাতিক দুনিয়াকে বার্তা দিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। শনিবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মন্তব্য কাঙ্ক্ষিত নয়।’’ কর্নাটকের স্কুল-কলেজের পড়ুয়াদের ‘ড্রেস কোড’ সংক্রান্ত বিষয়টি এখন সে রাজ্যের হাই কোর্টের বিবেচনাধীন বলে জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।
কর্নাটকের স্কুল-কলেজে মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পরা নিয়ে অশান্তির জেরে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারই প্রেক্ষিতে বিদেশ মন্ত্রকের এই প্রতিক্রিয়া বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বিবৃতিতে কোথাও ‘হিজাব’ বা ‘মুসলিম ছাত্রী’ শব্দ ব্যবহার করেননি। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী টুইটারে সরকারি সেই বিবৃতি পোস্ট করতে গিয়েও ‘হিজাব’ প্রসঙ্গ অনুল্লিখিত রেখেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘কর্ণাটকের কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ড্রেস কোড নিয়ে কিছু দেশের মন্তব্য সম্পর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়া নিয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তর’।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘আমাদের সাংবিধানিক কাঠামো এবং প্রক্রিয়া, সেই সঙ্গে আমাদের গণতান্ত্রিক ও রাষ্ট্রনীতির আদর্শ হল, সমস্যাগুলি বিবেচনা করা হয় এবং সমাধান করা। যাঁরা ভারতকে ভালোভাবে চেনেন তারা এই বাস্তবতা যথাযথ ভাবে উপলব্ধি করবেন।’’
প্রসঙ্গত, জানুয়ারি মাসে কর্নাটকের উদুপির ওই কলেজে হিজাব পরিহিত পড়ুয়াদের ক্লাস করতে না দেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে বিতর্কের সূত্রপাত। জেলা প্রশাসনের ‘বার্তা’ পেয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষই হিজাব পরে ক্যাম্পাসে না ঢোকার নির্দেশিকা জারি করেছিল বলে অভিযোগ। কয়েক জন মুসলিম ছাত্রীকে হিজাব পরে ক্যাম্পাসে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। তাঁরা প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু করেন। এর পর তাঁদের সমর্থনে বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয় মুসলিম ছাত্রদের একাংশ। পাল্টা রাজ্য জুডে় হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি হিজাব নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভে নামে।