শপথগ্রহণের মঞ্চে অতিথিদের অভ্যর্থনা জানাচ্ছেন হেমন্ত সোরেন। ছবি: টুইটার থেকে
সনিয়া-রাহুল-প্রিয়ঙ্কা গাঁধী, এক ঝাঁক মুখ্যমন্ত্রী ও বিভিন্ন রাজ্যের একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতানেত্রীদের উপস্থিতিতে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন হেমন্ত সোরেন। শপথের মঞ্চ হয়ে উঠল বিরোধী ঐক্যের নিদর্শন।
ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম)-এর কার্যকরী সভাপতি হেমন্ত সোরেন। তাঁর সঙ্গেই মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন জেএমএম-এর দু’জন কংগ্রেসের এক জন। রাঁচীর মোরাবাদী মাঠে সুবিশাল মঞ্চে শপথবাক্য পাঠ করালেন রাজ্যপাল দ্রৌপদী মুর্মু।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছে গিয়েছিলেন শনিবারই। বাকি অতিথিদের মধ্যে রয়েছেন অশোক গহলৌত, ভূপেশ বাঘেলের মতো মুখ্যমন্ত্রীরা। এ ছাড়া কংগ্রেস নেতাদের মধ্যে রয়েছেন রাহুল গাঁধী, পি চিদম্বরম। ডিএমকে নেত্রী কানিমোঝি, শরিক আরজেডি নেতা লালুপ্রসাদ যাদবের পুত্র তেজস্বী যাদব-সহ দলের অন্য নেতারাও রয়েছেন শপথগ্রহণে। বাম দলের পক্ষ থেকে রয়েছেন সীতারাম ইয়েচুরি ও ডি রাজা।
হেমন্ত সোরেনের শপথগ্রহণের মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তেজস্বী যাদব সহ অন্যরা। ছবি: টুইটার থেকে
৮১ আসনের ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা জেএমএম, কংগ্রেস এবং রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) এক জোট হয়ে ভোটে লড়ে বিপুল সাফল্য পেয়েছে। একক বৃহত্তম দল হিসেবে জেএমএম ৩০টি আসন, কংগ্রেস ১৬টি এবং আরজেডির একটি আসন মিলিয়ে জোটের দখলে মোট ৪৭টি আসন। অন্য দিকে বিজেপি ২০১৪ সালে ৩৭ আসন পেয়েছিল। এ বার তাদের আসন কমে হয়েছে ২৫।