Jharkhand Assembly Election 2024

‘হাসিনাকে কেন ভারতে ঠাঁই দেওয়া হল?’ শাহের অনুপ্রবেশ অভিযোগে পাল্টা আক্রমণ হেমন্তের

ঝাড়খণ্ডে প্রচারে এসে শাহ দাবি করেছিলেন, বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের ভারতে ঢুকে পড়া চাইলেই আটকে দিতে পারে পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ড সরকার। তারই জবাব দিলেন হেমন্ত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৪ ২২:১৯
Share:

ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। —ফাইল চিত্র।

ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে অনুপ্রবেশ সমস্যা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। টেনেছিলেন পড়শি রাজ্য বাংলাকেও। এ বার শাহের আক্রমণের জবাব দিতে গিয়ে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রধান (জেএমএম) তথা মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন উল্লেখ করলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রসঙ্গ। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘কেন হাসিনাকে ভারতে ঠাঁই দেওয়া হল?’’

Advertisement

গাড়োয়া বিধানসভায় দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারে গিয়ে শাহ এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে একযোগে আক্রমণ করেছেন হেমন্ত। একই সঙ্গে হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও নিশানা করেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, বাংলাদেশ সম্পর্কে ‘দ্বৈত’ ভূমিকা নিচ্ছে কেন্দ্র এবং বিজেপি নেতারা। হেমন্তের কথায়, ‘‘মোদী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার সময় সংবিধানের সামনে মাথা নত করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, সংবিধান অনুযায়ী দেশ চলবে। সমাজের সব অংশ সমান অধিকার পাবে। আমি তাঁকে (মোদী) প্রশ্ন করতে চাই, আপনি কি বাংলাদেশের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ কোনও ব্যবস্থা করেছেন? আপনি কেন হাসিনার হেলিকপ্টার ভারতে নামতে দিলেন?’’

ঝাড়খণ্ডে প্রচারে এসে শাহ দাবি করেছিলেন, বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের ভারতে ঢুকে পড়া চাইলেই আটকে দিতে পারে পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ড সরকার। স্থানীয় প্রশাসন এবং রাজ্য সরকারের প্রশ্রয়েই অনুপ্রবেশ বেড়ে চলেছে। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, ঝাড়খণ্ডে বিজেপি ক্ষমতায় এলে অনুপ্রবেশকারীদের থেকে জমি কেড়ে নেবে এবং তাঁদের দেশ থেকে বিতারিত করার জন্য কঠোর আইন আনবে। শাহকে পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে হেমন্ত বলেন, ‘‘ঝাড়খণ্ডে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে সরবরাহ করা হচ্ছে।’’ তাঁর প্রশ্ন, ‘‘সীমান্ত পাহারা দেওয়া এবং অনুপ্রবেশ রোখা কি কেন্দ্রের দায়িত্ব নয়? এ ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের কোনও হাত নেই।’’

Advertisement

সামনেই ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন। ১৩ এবং ২০ নভেম্বর দু’দফায় ভোটগ্রহণ। গণনা ২৩ নভেম্বর। আসন্ন নির্বাচনে জোট বেঁধে লড়ছে ‘ইন্ডিয়া’ শিবিরের শরিকেরা। জেএমএমের সঙ্গে কংগ্রেস, আরজেডি এবং সিপিআইএমএল লিবারেশনের আসনরফা চূড়ান্ত হয়েছে। জেএমএম লড়বে ৪৩, কংগ্রেস ৩০ আসনে। এ ছাড়াও আরজেডি এবং সিপিআইএমএল লিবারেশন লড়বে যথাক্রমে ৬ এবং ৪ আসনে। তবে ছতরপুর, বিশ্রামপুর এবং ধানওয়ার— এই তিনটি আসনে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই করবে জোট।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement