বৃষ্টির জলের স্রোতে ভেঙেছে সড়ক। ডিমা হাসাওয়ে। ছবি: বিপ্লব দেব।
ডিমা হাসাও জেলায় ৭২ ঘণ্টা একটানা বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত। দুর্যোগের জেরে ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরের মাইবাং-মাহুরের মধ্যে রাস্তায় ধস নেমেছে। নিম্নচাপের প্রভাবে শুক্রবার থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে পাহাড়ে। আজও তা থামেনি। এখ ধাক্কায় অনেকটা তাপমাত্রা কমেছে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, পাহাড় থেকে জল নেমে শিলচর-সৌরাষ্ট্র ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরের মাইবাং-মাহুরের মধ্যে চার-লেনের রাস্তায় প্রায় ২০০ মিটার অংশ নষ্ট হয়েছে। রাস্তায় বিশাল ফাটল তৈরি হয়েছে। পিচের প্রলেপ উধাও।
এ দিন সকাল থেকে ওই রাস্তায় যানবাহনের যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। ঝুঁকি নিয়ে ছোট গাড়ি চলাচল করলেও, যে কোনও মুহূর্তে রাস্তা পুরোপুরি ধসে যেতে পারে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মাইবাংয়ের ইনরিম বাংলো থেকে জাটিঙ্গা পর্যন্ত ইস্ট-ওয়েস্ট করিডর নির্মাণে খারাপ মানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। সে জন্যই এমন কাণ্ড ঘটেছে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সংস্থার তরফে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, রাস্তার ওই অংশের মাটি খারাপ। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের বিশেষজ্ঞ ও এনআইটি-র ইঞ্জিনিয়ার আগেই সে কথা জানিয়ে গিয়েছেন। সংস্থাটির বক্তব্য, রাস্তার ওই অংশে পাহাড়ের মাটি কালো এবং জলের সংস্পর্শে আসার সঙ্গে সঙ্গেই তা গলে যায়। বৃষ্টির জলের স্রোতে মিশে ওই মাটির সঙ্গে পাহাড় থেকে নামছে। তাতেই নষ্ট হচ্ছে রাস্তা। তবে রাস্তার ওই অংশ দ্রুত মেরামত করে যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে সংস্থারটির তরপে জানানো হয়েছে।
ইস্ট-ওয়েস্ট করিডর ও জাটিঙ্গা-হাফলং দুই লেনের রাস্তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের সিইএম দেবলাল গারলোসা। পূর্ত বিভাগের মাইবাং ও মাহুর ডিভিশনের ইঞ্জিনিয়ার গৌতম রায়কে সঙ্গে নিয়ে জাটিঙ্গা থেকে হাফলং পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণের কাজ পরিদর্শন করেন তিনি। কাজের গুণমান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁর বক্তব্য, ওই রাস্তার পিচ উঠে যাচ্ছে। গৌতমবাবুকে এ নিয়ে রিপোর্ট তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।