হায়দরাবাদে বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জনজীবন। ছবি: পিটিআই।
উত্তর ভারতের মতো দক্ষিণ ভারতেও ভয় ধরাচ্ছে বর্ষা। প্রবল বৃষ্টিতে দক্ষিণের একাধিক জেলা প্লাবিত। কর্নাটক, তামিলনাড়ু এবং কেরলে লাল সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে তিন রাজ্যের অনেক জেলায়।
মৌসম ভবনের পূর্বাভাস এবং রাজ্যের বর্ষা পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে তেলঙ্গানায় সব স্কুলে আপাতত দু’দিনের জন্য ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। দু’দিন পর বর্ষার গতিবিধি বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
দক্ষিণের রাজ্যগুলি গত কয়েক দিন ধরেই ভারী বৃষ্টির সাক্ষী। নিচু এলাকা জলমগ্ন হয়ে আছে। ভরে উঠেছে নদী-নালা, পুকুরও। বৃষ্টি না থামায় জল কমার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। বিপর্যস্ত হয়েছে সাধারণ জনজীবন। বৃষ্টির কারণে কর্নাটকে শুধু মঙ্গলবারেই চার জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। ১ জুন থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৭। এঁদের মধ্যে বেশিরভাগ মৃত্যুর কারণই বজ্রাঘাত।
তামিলনাড়ুতে মঙ্গলবার বৃষ্টিতে দুই কিশোরী ভেসে গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মহাভুবনগর জেলায় একটি ছোট নদী পার হতে গিয়েছিল তারা। স্রোতের টান বাইরে থেকে আন্দাজ করতে পারেনি। জলের তোড়ে দু’জনেই ভেসে গিয়েছে।
টানা বৃষ্টিতে হায়দরাবাদেও জনজীবন বিপর্যস্ত। রাস্তায় যানজট এড়ানোর জন্য সেখানে পুলিশের তরফে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির কাছে অফিসের সময় পরিবর্তনের অনুরোধ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, সংস্থাগুলি যেন ধাপে ধাপে কর্মীদের ছুটি দেয়। একসঙ্গে ছুটি হলে অনেকে অফিস থেকে বেরিয়ে পড়বেন এবং তাতে জলমগ্ন রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হবে।
কর্নাটকে আবহাওয়া অফিসের তরফে উপকূল এলাকার বাসিন্দাদের নিচু এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, পুরনো জীর্ণ বাড়িঘরের কাছাকাছি যেতেও নিষেধ করেছে হাওয়া অফিস। বৃষ্টির কারণে যে কোনও সময় পুরনো ঝরঝরে বাড়ি ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।