জলবন্দি চেন্নাই। ছবি: পিটিআই।
প্রবল বৃষ্টির দাপটে ভাসছে তামিলনাড়ুর উত্তরের জেলা। চেন্নাই, তিরুভাল্লুর, চেঙ্গালাপাট্টু, কাঞ্চিপুরমে কার্যত বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের লাল সতর্কতার জেরে ওই চার জেলায় আগামী দু’দিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সমস্ত স্কুল ও সরকারি অফিস। বেসরকারি অফিসের কর্মীদের অনুরোধ করা হয়েছে, তাঁরা যেন বাড়ি থেকে কাজ করেন। তা
তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন জানিয়েছেন ওই এলাকাগুলিতে শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবা চালু রাখা হবে। গত কাল রাজধানী চেন্নাইয়ে প্রায় ২০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। অন্য এলাকাগুলিতেও প্রায় একই পরিমাণে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে আগামী দুই থেকে চার দিন ওই চার জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। তাই পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই তৎপরতা শুরু করেছে। উপকূলবর্তী এলাকায় পৌঁছে গিয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় এবং ঘূর্ণাবর্তকেই তামিলনাড়ুর উত্তরাংশে অকাল বৃষ্টির কারণ বলে জানিয়েছে আবহবিদেরা। ইতিমধ্যেই জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন তিন জন। বাড়ি এবং দেওয়াল ভেঙে কয়েকজনের আহত হওয়ার খবরও এসেছে। এ ভাবে দুর্যোগ চলতে থাকলে হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
ধারাবাহিক বৃষ্টির কারণে তিরুভালুর জলাধার থেকে ২,০০০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। ফলে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে কিছু এলাকা। ধারাবাহিক বৃষ্টির কারণে চেম্বারামবক্কম জলাধারে চাপ তৈরি হওয়ায় সেখান থেকেও জল ছাড়া হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। তাতে আরও কয়েকটি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।