—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
মক্কায় হজে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে বহু পুণ্যার্থীর। তাঁদের মধ্যে গুজরাতের ছ’জন পুণ্যার্থীও রয়েছেন। গুজরাত হজ কমিটি জানিয়েছে, ১২ থেকে ১৭ জুন মক্কায় হজ করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে সে রাজ্যের ছ’জন পুণ্যার্থীরা। এই বিষয়ে কেন্দ্র এবং সৌদি আরবের ভারতীয় কনসাল জেনারেলকে পুণ্যার্থীদের কিছু সমস্যার কথা জানিয়ে চিঠি দিতে চলেছে কমিটি। মক্কায় ‘তাপপ্রবাহ’ চলছে। কমিটির অভিযোগ, এই আবহে সেখানে গিয়ে পুণ্যার্থীরা যথেষ্ট জল পাননি। ঘরে ঠাসাঠাসি করে থাকতে হয়েছে।
গুজরাত হজ কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতেরা হলেন ছোটা উদেপুরের ইকবাল আহমেদ মাকরানি, আমদাবাদের শাব্বাইর হুসেন, মহম্মদ ইকবাল সচোরা, বরোদার মুস্তাক আহমেদ, বনসকাঁথার নারুভাই শেখ, ভালসাদের কাসামালি সিদ্দিকি। ইকবাল মাকরানির বয়স ৭৫ বছর। তিনি স্কুলশিক্ষক ছিলেন। অবসর নিয়েছেন। গত ২৮ মে স্ত্রী সুগরাবিবির সঙ্গে মুম্বইয়ে পাড়ি দেন। ৩১ মে সেখান থেকে জেদ্দার উদ্দেশে রওনা হন। মুম্বইয়ে বাবা-মাকে ছাড়তে গেছিলেন ইকবালের ছেলে মইন। মইন জানিয়েছেন, ১২ জুন বাবা-মার সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। সে দিনই মৃত্যু হয় ইকবালের। ২০১৯ সালেও হজযাত্রার ভিসা পেয়েছিলেন। কোভিডের কারণে যাত্রা বাতিল হয়। মইন জানিয়েছেন, তাঁর বাবা সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন। কোনও রোগ ছিল না। রোজ হাঁটতেন। তাঁর দাবি, ‘হিটস্ট্রোক’-এই সম্ভবত মৃত্যু হয়েছে তাঁর। ১২ জুলাই দেশে ফেরার কথা ছিল ইকবালের। ১৩ জুন মক্কায় তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়েছে।
হজে গিয়ে সৌদি আরবে এ বছর মৃত্যু হয়েছে ৯৮ জন ভারতীয়ের। শুক্রবার ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, সকলেই মারা গিয়েছেন ‘স্বাভাবিক ভাবে’। এখনও পর্যন্ত ১০টি দেশের মোট ১০৮১ জন বাসিন্দা হজ করতে গিয়ে মারা গিয়েছেন। তার মধ্যেই ভারত জানাল, হজ করতে গিয়ে ‘স্বাভাবিক ভাবে’ মৃত্যু হয়েছে ৯৮ জন ভারতীয়ের।
গুজরাত হজ কমিটি জানিয়েছে, তাদের মাধ্যমে এ বার সে রাজ্য থেকে মক্কা এবং মদিনায় গিয়েছিলেন ১৪,৫০০ জন। তাঁদের থেকে অব্যবস্থার অভিযোগ পেয়ে শুক্রবার বৈঠকে বসেছিল কমিটি। এর পরেই কমিটি স্থির করে কেন্দ্র এবং সৌদি আরবে কনসাল জেনারেলকে চিঠি দেওয়া হবে।