বিভিন্ন এলাকায় বইবে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়াও। —ফাইল চিত্র।
তাপপ্রবাহের তীব্র দহনের ফলে পশ্চিমবঙ্গবাসীদের নাজেহাল অবস্থা। এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে ঘোরাফেরা করছে। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি রেহাই মেলেনি উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও। সকলেই দু’ফোঁটা বৃষ্টির অপেক্ষায় চাতকপাখির মতো বসে রয়েছে। তবে আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, শনিবার থেকে এই তাপমাত্রা কমতে পারে। পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি জেলায় দু’এক পশলা বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গবাসীরা কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেও এ বার তাপপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে দেশের কয়েকটি রাজ্যে।
মৌসম ভবন সূত্রে খবর, আগামী তিন দিন তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে পূর্ব ভারতে। ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড এবং বিহারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। বৃহস্পতিবার অন্ধ্রপ্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় বিশেষত উপকূলবর্তী অঞ্চলে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় মুম্বইয়ে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। হাওয়া দফতর সূত্রে খবর, সর্বোচ্চ তাপমাত্রার নিরিখে শীর্ষে রয়েছে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ এবং ওড়িশার বারিপদ। মঙ্গলবার প্রয়াগরাজ এবং বারিপদের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তবে, তাপপ্রবাহের মাঝেও দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তর ভারতের বিভিন্ন এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। বিগত কয়েক দিনে দিল্লিবাসীও তাপমাত্রার দাবদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন। রাজধানীর কিছু এলাকায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছিল। তবে বুধবার মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়া থাকার ফলে স্বস্তি পেয়েছেন দিল্লিবাসী।
পূর্ব রাজস্থানের কয়েকটি এলাকায় ঝিরঝিরে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। বুধবার জয়সলমের, বিকানের, জোধপুরে ঝোড়ো হাওয়া বয়েছিল। বৃহস্পতিবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে রাজস্থানের জয়পুর এবং ভরতপুরের কয়েকটি এলাকায়। ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বইবে ঝোড়ো হাওয়াও। বুধবার পঞ্জাব এবং হরিয়ানার বিভিন্ন এলাকায় হালকা বৃষ্টি হওয়ার ফলে তাপমাত্রায় অতি সামান্য হলেও পতন লক্ষ করা গিয়েছে।