Supreme Court

Supreme Court: রাষ্ট্রদ্রোহ আইন: চূড়ান্ত শুনানি ৫ই

রাষ্ট্রদ্রোহ আইন তথা ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪ক ধারার সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২২ ০৮:০০
Share:

প্রধান বিচারপতি এনভি রমণার বেঞ্চে হবে শুনানি। ফাইল চিত্র।

রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের বৈধতা সংক্রান্ত মামলা আর প্রলম্বিত হতে দিতে চায় না সুপ্রিম কোর্ট। ৫ মে এই মামলার চূড়ান্ত শুনানি হবে বলে আজ জানিয়ে দিল প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণার নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ।

Advertisement

রাষ্ট্রদ্রোহ আইন তথা ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪ক ধারার সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। জমা পড়েছে একাধিক পিটিশন। আবেদনকারীদের মধ্যে রয়েছে এডিটর্স গিল্ড অব ইন্ডিয়া, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কমন কজ়, রয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ শৌরি, প্রাক্তন মেজর জেনারেল এস জি ভোম্বাটকেরে, সাংবাদিক প্যাট্রিশিয়া মুখিম ও অনুরাধা ভাসিন, ব্যঙ্গচিত্রী অসীম ত্রিবেদী-সহ আরও অনেকেই। সরকার পক্ষের প্রতিনিধিত্ব করছেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। সাংবিধানিক পদাধিকার বলে আদালতকে সাহায্য করছেন অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল। ৫ মে, চূড়ান্ত শুনানিতে আবেদনকারীদের হয়ে সওয়াল করবেন আইনজীবী কপিল সিব্বল।

গত বছরই মামলার শুরুর দিকে প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ছিল, যে আইন মহাত্মা গান্ধী, বাল গঙ্গাধর তিলকের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হয়েছে, সেই ঔপনিবেশিক আইন স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও টিকে থাকে কী করে! সরকারের হাতে এই আইনের অপব্যবহারের সম্ভাবনা প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য ছিল, ‘‘রাষ্ট্রদ্রোহ আইন হল কাঠের মিস্ত্রির হাতে করাত তুলে দেওয়ার মতো! কাঠের বদলে বন কেটে আনে সে!’’

Advertisement

আজ প্রধান বিচারপতি রমণা, বিচারপতি সূর্য কান্ত, বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চ বলে দেয়, শুনানি মুলতুবি রাখার অনুরোধ আর শোনা হবে না। সলিসিটর জেনারেল পাল্টা হলফনামা দেওয়ার জন্য দু’-তিন দিন সময় চান। আদালত তাঁকে এই সপ্তাহান্তের মধ্যে হলফনামা জমা দিতে বলে। তার পরে আবেদনকারীরা পাল্টা বক্তব্য জমা দেবেন মঙ্গলবারের মধ্যে। এই প্রক্রিয়াটি মিটলেই চূড়ান্ত শুনানি হবে।

বেঞ্চ প্রথমে ৫ ও ৬ মে গোটা দিন ধরে শুনানি হবে বলে স্থির করেছিল। মেহতা তখন মনে করিয়ে দেন, ৬ তারিখ শুক্রবার। ওই দিন বিবিধ অন্য মামলা শোনার কথা সুপ্রিম কোর্টের। তখন প্রধান বিচারপতি বলেন, তা হলে ৫ মে-ই এই মামলার শুনানি হবে। কিন্তু কোনও ভাবেই শুনানি মুলতুবি রাখার অনুরোধ গ্রাহ্য হবে না। মামলাটি নিয়ে আর দেরি যে কাম্য নয়, সেটা আবেদনকারীদেরও বুঝিয়ে দিয়েছেন বিচারপতিরা। আজ যেমন শুনানির সময় পিইউসিএল-এর পক্ষে আইনজীবী সঞ্জয় পারেখ বলেছিলেন, তাঁদের পিটিশনটি তালিকাভুক্ত হয়নি। তখন বিচারপতিরা প্রশ্ন করেন, ‘‘আপনারা কি মূল বিষয়টার মীমাংসা চান না কি সব পিটিশন তালিকায় তুলতে চান? দেরি হলে দায় আপনাদের!’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement