প্রতীকী ছবি।
জল খেতে চেয়েছিলেন রোগী। তার বদলে চড়় মারার অভিযোগ উঠল স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে৷ শিলচরে আর আর সোম রোডের বাসিন্দা দেবিকা দাস এই অপমান সহ্য না পেরেই গত কাল সন্ধ্যায় মারা গিয়েছেন বলে অভিযোগ তাঁর স্বামী অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী রঞ্জিত দাসের।
দেবিকা দেবীর মৃত্যুর আগেই অবশ্য চড়় মারার অভিযোগ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে৷ অসমের কাছাড়়ের জেলাশাসক কীর্তি জল্লি গত কাল দুপুরে রঞ্জিতবাবুর বক্তব্য শোনেন৷ শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপারিন্টেন্ডেন্ট অভিজিৎ স্বামীকে ডেকে দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দেন।
রঞ্জিতবাবু বলেন, তাঁর স্ত্রী নিয়মিত ডায়ালিসিস করাচ্ছিলেন৷ ১৭ অগস্ট রুটিন মেনে মেডিক্যালে গিয়েছিলেন৷ কিন্তু রক্তচাপ কম থাকায় ডায়ালিসিস হয়নি৷ পরে আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়৷ রক্তচাপ স্বাভাবিক হলে মঙ্গলবার ডায়ালিসিস হয়।
রঞ্জিতবাবু জানান, তখনই দেবিকা দেবী কাঁদতে কাঁদতে তাঁকে বলেন, আইসিইউতে জল চেয়েছিলেন৷ পিপিই কিট পরা এক মহিলা চড় মেরে দিলেন!বিষয়টি তিনি সহ্য করতে পারছিলেন না৷ বারবার রঞ্জিতবাবুকে এক কথাই বলছিলেন৷ বুধবার সন্ধ্যায় আইসিইউ-তেই মারা যান তিনি।
জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সীমান্ত ভট্টাচার্য স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী পীযূষ হাজরিকার সঙ্গে দেখা করে এই অভিযোগের উপযুক্ত তদন্ত দাবি করেন৷ তদন্ত চেয়েছেন বিজেপি সভাপতি কৌশিক রাইও।
শিলচর মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ ভাস্কর গুপ্ত বৃহস্পতিবার জানান, তদন্তের কাজ শেষ হয়েছে৷ অভিযোগ পেয়েই মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান পৃথ্বীরাজ ভট্টাচার্যকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল৷ তিনি রিপোর্ট দিয়েছেন, এমন কোনও ঘটনা আইসিইউতে ঘটেনি৷ আসলে দেবিকা দেবীর কিডনির সমস্যা ইউরেনিক এনকাফলোপ্যাথিতে পরিণত হয়েছিল৷ এই অবস্থায় মস্তিষ্কেরও সমস্যা হয়৷ রোগী উল্টোপাল্টা বলেন৷ ভাস্করবাবুর বক্তব্য, এ ক্ষেত্রে তা-ই হয়েছে৷ কিন্তু এই রিপোর্ট মানতে নারাজ রঞ্জিতবাবু।