প্রতীকী ছবি।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সারা দেশে নোভেল করোনাভাইরাস নিয়ে সতর্কতা জারি করলেও ত্রিপুরায় তার কাজ শুরু হয়নি সে ভাবে। শুধু কয়েকটি প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে মাত্র। আজ একটি বৈঠক অবশ্য হয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের ইন্টিগ্রেটেড ডিজিজ সার্ভেলেন্স প্রোগ্রাম অফিসার (আইডিএসপি) সুধীর দেববর্মা জানিয়েছেন, আগামী দু’-এক দিনের মধ্যে আগরতলা চেকপোস্ট ও বিমানবন্দর-সহ রাজ্যের দু’টি রেল স্টেশনেও মেডিক্যাল টিমের হেল্থ ডেস্ক বসানো হবে। সেখানে ওই ভাইরাস-পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকবে।
ত্রিপুরা থেকে চিনে যাওয়া লোক কম হলেও প্রতি দিন হাজার দুই মানুষ আগরতলা চেকপোস্ট দিয়ে ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াত করেন। এবং বাংলাদেশ থেকে চিনে যান অনেকে। যেমন দু’মাস আগে চিনে বেড়াতে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের ফেনি জেলার শওকত আহমেদ। তাঁকে এ দিন সীমান্তে থেকে ফেরত পাঠাতে হয়েছে বলে জানান আগরতলা চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন আধিকারিক। আগরতলা আইপিসিতে নোভেল করোনাভাইরাস পরীক্ষার সুযোগ নেই। তাই তাঁকে হাসপাতালে গিয়ে পরীক্ষা করানোর জন্য অনুরোধ করা হয়। শওকত রাজি না-হওয়ায় তাঁকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে হয়েছে। বাংলাদেশের দিকে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে অবশ্য ওই চিনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত করতে হেলথ ডেস্ক বসিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্বাস্থ্য বিভাগ।
আরও পড়ুন: শাহিনবাগ আন্দোলনের মুখ সারজিলের বিহারের বাড়িতে পুলিশি হানা