ডিএমকে সুপ্রিমো এম করুণানিধি।
ডিএমকে সুপ্রিমো এম করুণানিধির শারীরিক অবস্থা ‘অত্যন্ত সঙ্কটজনক’।বার্ধক্যজনিত কারণে তাঁর শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ বিকল হতে শুরু করেছে। সঙ্গে জন্ডিস ও শ্বাসকষ্ট তাঁর শারীরিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। সোমবার সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টা খুব সঙ্কটময়। খবর পেয়েই চেন্নাইেয়ের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত ১৮ জুলাই চেন্নাইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন ডিএমকে প্রধান। তবে কয়েকদিনের চিকিৎসায় কিছুটা সুস্থ হওয়ায় ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু গত ২৮ জুলাই ফের তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবারই হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, অবস্থার অবণতি হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে হাসপাতাল জানায়, তাঁর অবস্থা ‘অত্যন্ত সঙ্কটজনক’। তবে চিকিৎসকরা সব রকমের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি সর্ব ক্ষণ নজরে রাখছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককদের একটি দল। হাসপাতালের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর চিকিৎসকক অরবিন্দন সেলভারাজ জানান, ডিএমেকে নেতা চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন কি না, সেটা মনিটরিং করা হচ্ছে।
প্রিয় নেতার শারীরিক অবস্থার অবনতির খবর চাউর হতেই হাজার হাজার অনুগামীরা রাতেই হাসপাতালের সামনে ভিড় জমান।খবর পেয়েই হাসপাতালে ছুটে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী।
আরও পড়ুন: পিছিয়ে গেল ৩৫এ শুনানি, স্তব্ধ কাশ্মীর
খবর শোনার পর থেকেই হাসপাতালের সামনে ভিড় অনুগামীদের। ছবি: পিটিআই।
২৮ জুলাই মূত্রাশয়ে সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তির পরের দিনই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। যদিও পরে চিকিৎসককরা জানিয়েছিলেন, ডিএমকে নেতা চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর পেয়েই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ থেকে শুরু করে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী, রজনীকান্ত, কমল হাসন এবং বিজেপির শীর্ষ নেতারা দেখা করে আসেন করুণনিধির সঙ্গে।
করুণানিধির বয়স ৯৪। তামিলনাড়ুর পাঁচ বারের মুখ্যমন্ত্রী করুণানিধি সম্প্রতি রাজনীতির আড়ালে চলে গিয়েছিলেন। এক বছরের বেশি সময় ধরে তিনি জনসমক্ষে আসেননি। তবে দলের সদর দফতরে মাঝেমধ্যে যেতেন। ১৮ জুলাই একটি অস্ত্রোপচারের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তার পর বাড়িও ফিরে আসেন। কিন্তু দিন দশেক পরেই ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন: ছেলে বন্ধক দিয়ে গন্ডার শিকারের রাইফেল