কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী হতে না পারলেও দলের ‘রায়’ মেনে নিলেন ডিকে শিবকুমার। ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার হলেও তাঁর ইচ্ছাপূরণ করেনি কংগ্রেস। তবে তার জন্য দলের প্রতি কোনও ক্ষোভ নেই বলে জানালেন কর্নাটকের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমার। ‘এনডিটিভি’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কর্নাটকের এই প্রবীণ কংগ্রেস নেতা বলেন, “দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত অনেকটা আদালতের রায়ের মতো। তাই আগে যতই সওয়াল-জবাব চলুক, শেষে বিচারকের সিদ্ধান্তকে মেনে নিতেই হয়।”
বাসবরাজ বোম্মাইয়ের পর কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব ঠিক করবেন— কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠকে সর্বসম্মত ভাবে তা-ই ঠিক হয়েছিল। সেই ঐক্যের রেশ বজায় রেখেই বৃহস্পতিবার শিবকুমার বলেন, “আমরা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের হাতে ছেড়েছিলাম। আমি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্তকে গ্রহণ করছি।” এই প্রসঙ্গে তিনি এ-ও বলেন যে, “ব্যক্তিগত স্বার্থ পরে, দলের স্বার্থ আগে।” কর্নাটকে দলের জয়ে কংগ্রেস ‘লাখ লাখ কর্মীসমর্থক’-এর কঠোর পরিশ্রমের কথা উল্লেখ করে শিবকুমার বলেন, “আমরা সবাই একসঙ্গে এই লড়াইটা করেছি।”
৫ দিনের টালবাহানার শেষে বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কেসি বেণুগোপাল জানান, কর্নাটকের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন সিদ্দারামাইয়া। উপমুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পাচ্ছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমার। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় কর্নাটকের নবনির্বাচিত কংগ্রেস বিধায়কদের বৈঠক ডেকেছেন শিবকুমার। সেখানেই আনুষ্ঠানিক ভাবে সিদ্দারামাইয়ার নাম ঘোষণা করা হতে পারে। শিবকুমার বৃহস্পতিবার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের সঙ্গে তাঁর এবং সিদ্দারামাইয়ার ছবি টুইট করেন। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘‘কর্নাটকের নিরাপদ ভবিষ্যৎ এবং আমাদের জনগণের কল্যাণই আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। আর এর নিশ্চয়তা দিতে আমরা ঐক্যবদ্ধ।’’ আগামী শনিবার নয়া সরকার শপথ নিতে পারে বলে কংগ্রেসের একটি সূত্র জানাচ্ছে।
২২৪ আসনের কর্নাটক বিধানসভায় এ বার ১৩৫টি আসন জিতে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পেয়েছে কংগ্রেস। সহযোগী ‘সর্বোদয় কর্নাটক পক্ষ’ জিতেছে ১ আসনে। রবিবার নবনির্বাচিত কংগ্রেস বিধায়কদের বৈঠকে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী মনোনয়নের ভার দেওয়া হয় খড়্গেকে। পাশাপাশি, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্ডের নেতৃত্বে ৩ কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষককে বিধায়কদের সঙ্গে ব্যক্তিগত স্তরে আলোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী পদে তাঁদের ‘পছন্দ’ জানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার সেই রিপোর্ট জমা পড়েছে দলের সর্বভারতীয় সভাপতির কাছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়ক সিদ্দারামাইয়াকেই মুখ্যমন্ত্রী চেয়েছেন বলে এআইসিসির একটি সূত্র জানাচ্ছে।