মুকেশ অম্বানীর কন্যা ঈশা অম্বানী। ১২ ডিসেম্বর গাঁটছড়া বাঁধছেন আনন্দ পিরামলের সঙ্গে। বিয়ের পর ৪৫০ কোটি টাকার একটি বাড়িতে উঠছেন তিনি। নির্মাণ কাজও চলছে সেখানে।
মহাবালেশ্বরে বেড়াতে গিয়ে ছোটবেলার বন্ধু আনন্দ বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন অম্বানী কন্যাকে। কিন্তু কোথায় এই বিয়ের প্রস্তাব দেন আনন্দ?
মুম্বইয়ে নিজস্ব বাংলো ছাড়াও মহাবালেশ্বরে পিরামলদের একটি ভিলা রয়েছে। এই ভিলাতেই ঈশাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন আনন্দ।
ফুল অসম্ভব ভালবাসেন পিরামল দম্পতি অজয় ও স্বাতী। তাই ফুলে সাজানো এই বাংলো। ২০০৬ সালে কেনা হয়েছিল এটি। যার মূল্য কয়েকশো কোটি। ২০১৪ সালে এই ভিলায় যাতায়াত শুরু করেন পিরামলরা।
অসাধারণ নানা ফুলের বাগান ঘুরে দেখার জন্য মহাবালেশ্বর উৎসবে ৭০০০ টাকা টিকিট দিয়ে ঘুরে দেখানোর ব্যবস্থা করেছিলেন ঈশার হবু শ্বাশুড়ি স্বাতী। অজয় নিজেই গাইড করেছিলেন দর্শকদের। ওয়াইন, হট চকোলেট, সনাতনী কাহোওয়া দেওয়া হয়েছিল ফুল উৎসবের সময়।
মারাঠা-ভিক্টোরিয়ান স্টাইলে তৈরি ভিলাটির ঐতিহাসিক গুরুত্বও রয়েছে। সাংলির মহারাজা বিজয়সিংহ মাধবরাও পটবর্ধনের বাড়ি ছিল এটি। ১৮৬২ সাল নাগাদ এটি তৈরি হয়।
প্রাসাদটির মূল মেঝে ছিল প্লাস্টার অব প্যারিসের। সেই মেঝে বদলে সংরক্ষণ করা হয়। দরজার রং মুছে সেগুন কাঠের মূল দরজাটির রংই রাখা হয়।
এখন যেটা লিভিং রুম, সেটা আসলে ছিল দিওয়ানখানা। নাচ, গানের মজলিশ বসত এখানেই।
আনন্দ অর্কিড খুব ভালবাসেন, তাই বাগানে রয়েছে বেশ কিছু অর্কিড গাছও।
পিরামলদের অতিথিশালা এখন যেখানে, সেটা আসলে ছিল আস্তাবল। অভিজাত পরিবারের ঘোড়াগুলি যেখানে থাকত, সেখানে এখন একটা গুহার মতো আকার। রয়েছে বিলাসবহুল ডাইনিং টেবিল, টেলিভিশন সেট, ছোট একটা পাঠাগারও।
২০১৪ সালে পিরামলদের বাগানে ফুল উৎসবের সময় নেলসন ম্যান্ডেলার স্মরণে মাডিবা গার্ডেনের প্রতিলিপি করা হয়েছিল। বিশ্বকাপের আগে ২০১৪ সালে ফিফা বিশ্বকাপের স্টোডিয়ামের প্রতিলিপিও তৈরি হয়েছিল বিলাসবহুল এই অর্কিড বাগানে।
পিরামলদের সপ্তাহান্ত কাটে ফুলের বাগানে। এই বাগানেই ফুল উৎসবের সময় স্বাতীর মা বিখ্যাত শেফ অরুণিকা শাহ নিজে জিলাতো আইসস্ক্রিম বানিয়েছিলেন। ভিলায় কেউ এলেও অতিথি অভ্যর্থনার দায়িত্বে থাকেন তিনি।
পপিং কয়েন গেমস রয়েছে এই বাগানে। দর্শকরা খানিক দূর থেকে একটি ‘লাকি ওয়েল’-এ এই মুদ্রা ফেলেন। বেশ কঠিন ব্যাপারটা। তবে অজয় নাকি প্রথম বারেই এই মুদ্রা ফেলেছিলেন কূপটিতে।
অম্বানী কন্যার বর্তমান বাসস্থান অ্যান্টিলিয়া। এটির মূল্য প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা। ৬০০ কর্মী রয়েছেন এই বাড়িটি দেখাশোনার জন্য। মূল্যের বিচারে বাকিংহাম প্রাসাদের পরেই এটি।
ঈশা অম্বানী ও তাঁর হবু স্বামী আনন্দ পিরামল ছোটবেলার বন্ধু। কিছু দিন আগেই ইতালির লেক কোমোতে তাঁদের এনগেজমেন্ট হয়ে গিয়েছে।