হাথরসে অনেকের করোনা পরীক্ষা ধরা পড়েছে বলে উত্তরপ্রদেশ সূত্রে খবর।
করোনা পরীক্ষা করাতে চান না হাথরসের নির্যাতিতার পরিবার। এমনটাই দাবি চিকিৎসকদের একটি দলের। ওই পরিবারের এক সদস্যের করোনার উপসর্গ রয়েছে, এই খবর পেয়ে কোভিড পরীক্ষা করতে হাথরসে গিয়েছিল দলটি। কিন্তু তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
চিকিৎসক দলটির এক সদস্য জানিয়েছেন, সম্প্রতি নির্যাতিতার পরিবারের এক সদস্যের করোনার উপসর্গ দেখা দিয়েছে। তাঁর জ্বর এবং কাশি রয়েছে বলে খবর পেয়েছেন তাঁরা। তার ভিত্তিতেই ওই পরিবারের সব সদস্যের কোভিড পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করতে যায় দলটি। সেই সঙ্গে ওই চিকিৎসক আরও বলেছেন, ‘‘এই মুহূর্তে ওই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অনেকে সাক্ষাৎ করছেন। তাই আমরা ঠিক করেছিলাম, হাথরসে যাব এবং সকলের করোনা পরীক্ষা করব। কিন্তু পরিবারটি তাতে রাজি নয়।’’
হাথরস কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পর গোটা বুলগড়হী গ্রাম ঘিরে ফেলেছিল পুলিশ। সেখানে সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীর আনাগোনাও লেগেই রয়েছে। তার জেরে এলাকায় করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কাও দেখা দেয়। উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন সূত্রে খবর, হাথরসে কাটিয়েছেন এমন একাধিক পুলিশকর্মী, সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীর পরবর্তীকালে করোনা ধরা পড়েছে।
আরও পড়ুন: পাগড়ি বিতর্কে ব্যবস্থা নিতে মমতাকে আর্জি অমরিন্দর, সুখবীরের
আরও পড়ুন: দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমল ১০ হাজারের বেশি
গত ১৪ সেপ্টেম্বর হাথরসে ওই তরুণীর উপর নারকীয় নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। গণধর্ষণের পর তাঁর জিভ কেটে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বেশ কয়েক দিন লড়াইয়ের পর শেষে দিল্লির সফদর জঙ্গ হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই তরুণীর। এর পর থেকে ক্ষোভের আঁচ ছড়িয়ে পড়ে দেশ জুড়ে। নির্যাতিতার দেহ পরিবারের হাতে না দিয়ে রাতের অন্ধকারে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ পুড়িয়ে দেওয়ায় প্রতিবাদের স্বর ক্রমশ জোরালো হতে থাকে। যোগী সরকারের বিরুদ্ধে ময়দানে নামে প্রায় সব রাজনৈতিক দলই। সেই সময় ওই গ্রামে যায় কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। প্রথম বার ব্যর্থ হলেও, দ্বিতীয় বারের চেষ্টায় ওই গ্রামে পৌঁছন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী এবং প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরাও। গ্রামে যান বাম-সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাও।