হাথরস যাওয়ার পথে প্রিয়ঙ্কা।
হাথরস কাণ্ডে শাসক দল বিজেপির বিরোধিতায় এ বার কার্যতই চালকের আসনে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। দাদাকে পাশে বসিয়ে শুধুমাত্র গাড়ি চালানোই নয়, শনিবার পুলিশের লাঠির আঘাত থেকে দলীয় কর্মীকে বাঁচাতে ব্যারিকেড টপকে ভিড়ের মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়তেও দেখা গেল তাঁকে।
দিল্লি থেকে উত্তরপ্রদেশে ঢোকার মুখে এ দিন দিল্লি-নয়ডা ডায়রেক্ট ফ্লাইওভারের টোল প্লাজায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে কংগ্রেস নেতা ও সমর্থকদের। ব্যারিকেড বসিয়ে কংগ্রেস নেতাদের রাস্তা আটকায় পুলিশ। গাড়ি থেকে নেমে এলে প্রিয়ঙ্কাকেও আটকানো হয়। তা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে ধুন্ধুমার বেধে যায়।
কংগ্রেস নেতাদের হঠাতে এলোপাথাড়ি লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। ধাক্কা দিয়ে প্রিয়ঙ্কাকেও পিছনের দিকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। সেই সময় দলের এক কর্মীকে পুলিশের হাতে মার খেতে দেখে ভিড় ঠেলে ছুটে আসেন প্রিয়ঙ্কা। হলুদ রঙের, ছোট একটি ব্যারিকেড টপকে ওই কর্মীর কাছে পৌঁছে যান তিনি। দু’হাত দিয়ে তাঁকে আঁকড়ে ধরেন।
আরও পড়ুন: নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে হাথরস পৌঁছলেন রাহুল-প্রিয়ঙ্কা
তত ক্ষণে দলের বাকি কর্মীরাও ঘটনাস্থলে ছুটে এসে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করেন। পুলিশের লাঠির আঘাতে আহত হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। রাস্তার এক পাশে তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যান সকলে মিলে। তার পর চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় তাঁকে।
সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় গোটা ঘটনাটি ধরা পড়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ছড়িয়ে পড়েছে সেই ভিডিয়ো। তাতে নীল রঙের কুর্তা পরিহিত প্রিয়ঙ্কাকে আহত ওই দলীয় কর্মী এবং পুলিশের মধ্যে ঢাল হয়ে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে।
গোটা ঘটনায় কংগ্রেস নেতা-নেত্রীরা তো বটেই, প্রিয়ঙ্কাকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন নেটাগরিকরাও। কর্নাটকের যুব কংগ্রেস নেতা শ্রীবৎস ওয়াইবি টুইটারে লেখেন, ‘‘অত্যাচারীদের হাত থেকে দলীয় কর্মীদের বাঁচাতে ছুটে এলেন নেত্রী। প্রিয়ঙ্কা গাঁধী আদিত্যনাথের পোষা গুন্ডা পুলিশের লাঠি থেকে কংগ্রেস কর্মীকে রক্ষা করেছেন। এই সাহসিকতাই ফ্যাসিবাদী আদিত্যনাথ এবং মোদীকে হারাতে সাহায্য করবে।’’
আরও পড়ুন: ‘ইংরেজি জানো না, পোস্টমর্টেম রিপোর্টের কী বুঝবে?’
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতিন প্রসাদ লেখেন, ‘‘নিজের নিরাপত্তার তোয়াক্কা না করে সমর্থকদের রক্ষা করছেন। হাথরসের নির্যাতিতার জন্য লড়াইয়ে দলের প্রত্যেক কর্মী প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর পাশে রয়েছেন।’’
মহারাষ্ট্র যুব কংগ্রেসের নেতা সত্যজিৎ তাম্বে লেখেন, ‘‘গাঁধী হওয়া মানে শুধু জনসমাবেশ করা এবং ভাষণ দেওয়া নয়। গাঁধী হওয়া মানে লক্ষ লক্ষ ভারতবাসীর সঙ্গে মনের সংযোগ রাখা, তাঁদের পাশে থাকা।’’