প্রতীকী ছবি।
সেপ্টেম্বরের ৬,৭,৮— হরিয়ানার পানিপথ জেলার তিনটি এলাকা থেকে তিনজনের দেহ উদ্ধার হয়। সেই খুনের কিনারা করল পুলিশ। তিনজনকে খুনের অভিযুক্ত হিসাবে বৃহস্পতিবার এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার নাম নুর হাসান। পুলিশ জানিয়েছে, জেরার সময় নুর স্বীকার করেছে সে নিজের স্ত্রী, শ্যালিকা ও শাশুড়িকে খুন করেছিল। খুনের পর তাদের ধর্ষণ করেছিল বলেও পুলিশকে জানিয়েছে নুর।
নুর হরিয়ানার সোনেপত জেলার পাট্টি কালিয়ানা গ্রামের বাসিন্দা। স্ত্রী মধুর (২৫) বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল বলে সন্দেহ ছিল নুরের। সেই সম্পর্কে তার শ্যালিকা ও শাশুড়ির মদত জোগাত বলে ধারণা ছিল তার। এর জেরেই সে তিন জনকে খুন করেছে বলে জানিয়েছেন এক পুলিশ অফিসার।
তিনি বলেছেন, ৫ সেপ্টেম্বর স্ত্রী ও শ্যালিকাকে ধারালো অস্ত্রের কোপে খুন করে সে। তার পর তাদের দেহ তোষকে মুড়ে রেখে দেয়। পরে সেগুলিকে আলাদা আলাদা জায়গায় ফেলে দিয়ে আসে। এর পর ৮ সেপ্টেম্বর শাশুড়িকে গামরি থেকে নিয়ে আসে ও তাঁর গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুন করে। প্রমাণ লোপাটের জন্য শাশুড়ির দেহ পুড়িয়ে ফেলারও চেষ্টা করেছিল সে। নুর ও মধুর দু’টি সন্তান আছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
নুরের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (খুন) ও ২০১ (প্রমাণ লোপাট) ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ‘অপরাধ নয় যৌন পেশা’, মন্তব্য বম্বে হাইকোর্টের
আরও পড়ুন: কৃষি বিলের প্রতিবাদে ভারত বন্ধ, দেশ জুড়ে বিক্ষোভে কৃষকরা