হরিয়ানায় কন্যাভ্রূণ ‘হত্যা’র অভিযোগ। প্রতীকী ছবি।
হরিয়ানায় সম্প্রতি কন্যাভ্রূণ ‘হত্যা’র চক্র ফাঁস হতেই তৎপর হয়ে রাজ্য। তদন্তে নেমে দেখা গিয়েছে, রাজ্যের আনাচকানাচে গর্ভপাত করানোর বহু কেন্দ্র গজিয়ে উঠেছে। সেই সব কেন্দ্রে অবৈধ ভাবে গর্ভপাত করানোর অভিযোগ উঠছিল। সেই অভিযোগ পেয়েই তৎপর হয় রাজ্য প্রশাসন।
ইন্ডিয়া টুডে-র প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, প্রশাসনের এক সূত্রের খবর, রাজ্যে ১৫০০টি মেডিক্যাল টার্মিনেশন অফ প্রেগন্যান্সি (এমটিপি) সেন্টার আছে। তার মধ্যে ৩০০টির রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হয়েছে। এই চক্রের জাল কত দূর বিস্তৃত, কারা এই চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে, তা খুঁজে বার করার জন্য একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে রাজ্য। স্বাস্থ্য দফতর, মহিলা ও শিশু উন্নয়ন, মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থার আধিকারিক এবং পুলিশকে নিয়ে সেই টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। টাস্ক ফোর্সের নেতৃত্বে রয়েছেন হরিয়ানার জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অধিকর্তা চিকিৎসক বীরেন্দ্র যাদব।
গত কয়েক বছরে হরিয়ানায় মেয়েদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। রাজ্যের তথ্য বলছে, ২০১৯ সালে যেখানে প্রতি ১০০০ ছেলের নিরিখে মেয়ের সংখ্যা ৯২৩ ছিল, সেখানে ২০২৪ সালে সেই সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ৯১০। ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হরিয়ানার পানিপতে ‘বেটি বচাও, বেটি পঢ়াও’ প্রকল্প চালু করেন। কিন্তু তার পরেও কী ভাবে সেখানে মেয়েদের সংখ্যার হার কমছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। তার মধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কন্যাভ্রূণ ‘হত্যা’র অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে গর্ভপাত করানো হয়, এমন অনেক কেন্দ্রের খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তার পরই সেই কেন্দ্রগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে প্রশাসন।